গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে। পাপিয়া কাণ্ডের পর আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) জেলার ফারহানা আক্তারকে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এতে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে , কারাগারের ভেতর যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার অপরাধী চক্র গড়ে তোলার জের ধরে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় বন্দী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো ‘পাপিয়া-কাণ্ডের’ পরই জানাজানি হয়। ফারহানা দায়িত্ব পালনকালে পাপিয়াকে নানাভাবে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে, গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ওবায়দুর রহমানকে রাজশাহী প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে গত ৩০ জুলাই কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ছয় কারারক্ষীকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বদলি করা হয়।
কারাগার সূত্রে আরও জানা যায়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রাখা হয়। তিনি অপরাধ কার্যক্রম শুরু করেন কারাগারের ভেতরেও, উত্তর গড়ে তোলেন অনুগত বাহিনী।
অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে বন্দী অন্য নারীদের কাছ থেকে তিনি টাকাপয়সা ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। তাদের ওপর চালাতেন নির্যাতন। কয়েকজন কারারক্ষী ও নারী বন্দী তার এসব অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করতেন।
এর মধ্যে ঢাকায় আদালতে নথি চুরির অভিযোগে রুনা লায়লা নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
গত ২৫ জুন ওই নারী আইনজীবীর ভাই গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ওই ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ অভিযোগের মাধ্যমে কারা অভ্যন্তরে শামীমা নূর পাপিয়ার নির্যাতন এবং অপরাধ কার্যক্রমের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই ঘটনার পর পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিলা কারাগারের মেট্রন ফাতেমাকে প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করে গঠিত তদন্ত কমিটি।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত