বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে যায় ঘরবাড়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলী জমি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বপ্রথম ব্যাপক হারে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ মরহুম আলহাজ্ব খুল্যামিয়া চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ ইউনূছ মিয়া।
সোমবার ও মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বানবাসি হতদরিদ্র, অসহায় এবং দিনমজুর ১ হাজার পরিবারের দুর্বস্থার কথা চিন্তা করে মো. ইউনূছ মিয়া ত্রাণ সামগ্রী, ঔষুধ ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।
হতদরিদ্র মোঃ করিম বলেন, সরকারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেও থাকার ঘর পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে ঘর নির্মাণে আমাদের কোন সহায় সম্বল ছিল না। কিন্তু ইউনুছ মিয়া ব্যক্তিগত ভাবে সম্পূর্ণ ঘরের টিন ও নগদ টাকা দিয়েছেন। এটি আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
ছেনুয়ারা আরা বেগম নামের এক বৃদ্ধ নারী বলেন, আমার স্বামী নেই। আমাকে মেয়েরা লালন পালন করে । কিন্তু বন্যার পানিতে আমার মেয়ের ঘর ও জমিতে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। থাকার,খাবার ও চলার কোন কিছুই নেই। কিছু সরকারি সহায়তা পেলেও তা এত বড় পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আলীকদমে মোঃ ইউনূছ মিয়া আমার পরিবারকে ত্রাণের পাশাপাশি নগদ টাকা ও পরিবারের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
মরহুম আলহাজ্ব খুল্যামিয়া চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.ইউনুছ মিয়া বলেন, আলীকদমে বন্যার পানিতে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পরবর্তী সময়ে আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব খুল্যামিয়া চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা করছি।
মোঃ ইউনুছ মিয়া আরও বলেন, এবারের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় অতীতের সকল বন্যাকেও হার মানিয়েছে। পাহাড়ি ঢলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের কথা চিন্তা করে মানবিক সেবা হিসেবে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী,টিন, অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা এবং ঘর নির্মাণের জন নগদ টাকা দিচ্ছি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আমার বাবা কাজ করে গেছেন আমিও উপজেলারবাসীর প্রয়োজনে কাজ করে যাব।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত