মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় দেশি-বিদেশি একটি পরাজিত চক্র জড়িত ছিল।১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে দোয়া মাহফিলে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
ঢামেক পরিচালক বলেন, আগামীকাল (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধায় এ দিবসটি পালন করবে। আপনারা জানেন ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট দেশি ও বিদেশী একটি কুচক্রী মহল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যা করে। আজও সেই কুচক্রী মহল দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে একটি চক্র বিদেশি শক্তিকে পুজি করার চেষ্টা করছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রকে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ঢামেক হাসপাতালের বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ডা. আজিজ আহমেদ খান (শীশ) জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর হলেও অন্যান্যরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে ধরে এনে ঘৃণিত এই কাজের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
ঢামেক হাসপাতালের বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ওয়ার্ড মাস্টার মো. আবুল বাশার সিকদার বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি,তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ডা. আজিজ আহমেদ খান (শীশ),এসএলপিপি ডা. মশিউর রহমান,আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালিটি) ডা. আলাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক(প্রশাসন)ডা.আশরাফুল নাহার, ঢামেকের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা.দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের(স্বাচিব) ডা. আফজালুল হক রানা, ঢামেক হাসপাতালে আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মোঃ উজ্জল বেপারী সহ। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বৃহত্তর ফরিদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতির সচিব ওয়ার্ড মাস্টার মো.আবুল বাশার সিকদার। পরে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
পার্বত্যকন্ঠ নিঊজ/রনি
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত