ফরিদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ এমএম শাহরিয়ার রুমি আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আজ বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে যান। কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত শাহরিয়ার রুমি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। পারিবারীক সূত্র জানায়, আজ বুধবার (২৪ মার্চ) বাদ জোহর সিএমএইচ মসজিদে প্রথম জানাযা শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এবং বাদ জোহর ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবর স্থানে দাফন করা হবে। শাহরিয়ার রুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সংবিধানের রচয়িতাদের অন্যতম সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লার জেষ্ঠ্য সন্তান। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম শাহরিয়ার রুমী ছাত্রাবস্থাতেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএস এবং ১৯৭৩ সালে ছিলেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি ক্রিড়াঙ্গনেও অবদান রেখেছেন। তিনি আবাহনী ক্রিড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ফরিদপুর জেলা আবাহনী ক্রিড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ.কে আজাদ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল সাহা, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ফরিদপুর জেলা ক্রিড়া সংস্থা সহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফরিদপুর, ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ফরিদপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ফরিদপুর জেলা ট্রাক ডাইভার্স ইউনিয়ন, জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।