মাদারীপুর সদর থানার নতুন মাদারীপুর এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় ঘটেছে। মাদারীপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করা করেছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা হুমায়ুন (২৫) মাতুব্বর পিতাঃ পিতাঃ মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল রহমান মাতুব্বর এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা সেলিম ফরাজির (৫০) পিতাঃ মৃত কলম ফরাজি সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। উক্তবিরোধ কে কেন্দ্র করে গত ১৫ ই মার্চ সকালে সেলিম ফরাজি তার দলবল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা চালায় ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হুমায়ুন মাতুব্বর বাধা দিতে গেলে তার গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে তাকে বাঁচাতে আসলে তার বোন ডলি আক্তার, ও স্ত্রী ফাতেমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে ও গর্ভবতী ভাবী সুমাইয়া বেগমের তলপেটে বাচ্চা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে লাথি মারে। দুর্বৃত্তরা, ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে হুমায়ুন মাতুব্বরের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত সুমাইয়া আক্তারকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হুমায়ুন মাতুব্বর বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আসামীরা হলেন একই এলাকার সেলিম ফরাজি, বেলায়েত ফরাজি, শওকত ফরাজি, শহিদ ফরাজি, ছায়াদ ফরাজি ও আলিম ফরাজি।
মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হুমায়ুন বলে, আমার বাবা একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কখনোই কারো সাথে বিরোধে ও যায় নি। কিন্তু গত ৬ মাস আগে সেলিম ফরাজি ও বেলায়েত ফরাজি দাবী করে আমাদের বসতবাড়ীর জমিটি তাদের, এই নিয়ে আদালতে একটি মামলা ও হয়, মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসায় সেলিম ফরাজি ও তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পরিবারের উপর এমন হামলা চালায়, আমার গর্ভবতী ভাবীকে ও ওরা ছাড় দেয় নি। এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সঠিক বিচার চাই।