বাজারে সংকট থাকায় গেল সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতিটি ডিমের দাম প্রায় ১৪ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে।
কারওয়ান বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। আর ডজন হিসাবে ডিমের দাম উঠেছে ১৬০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে ডিমের দাম প্রায় ৫ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়ায় অতিরিক্ত চাপ পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। ডিমের দাম বাড়লেও বাজারে মুরগির দামে সপ্তাহ ব্যবধানে খুব একটা হেরফের হয়নি। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি বা কক মুরগির কেজি ৩২০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণের বেড়েছে ডিমের দাম। তবে বিক্রেতারা বলছেন, খামারে ডিমের সংকট থাকায় পর্যাপ্ত ডিম আসছে না ঢাকার বাজারে, তাই বেড়েছে দাম। এদিকে ডিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পেয়াঁজের দামও। প্রতি কেজি দেশি পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় আর ইন্ডিয়ান পেয়াঁজ ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে।
মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা সায়দুল বলেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। কথা নেই, বার্তা নেই নিজের ইচ্ছামতো পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ৬৫ টাকা কেজি। আজকে কিনেছি ৮০ টাকা কেজি। দোকানদার যেভাবে দিচ্ছে আমাকে সেভাবেই নিতে হচ্ছে। রসুনের দামও ৪০ টাকা বাড়তি। তাই ২৫০ গ্রাম রসুন কিনেছি।
এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুমেও কমছে না মাছের দাম। বাজারে ৬০০ বা ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে রুই-কাতলার কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে আড়াইশ টাকা।
রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা সবুজ বলেন, বাজারে ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই অন্য মাছের দামও কমছে না। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি থাকায় মাছের দাম বাড়ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত