এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর
৯ আগস্ট বুধবার বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে পড়ে পাচার হওয়া ওই কিশোরী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ লংগরপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে ওই ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে। লোকমান মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের লোকমান ভিকটিমের এলাকায় আত্মীয়তার সূত্র ধরে আসা যাওয়া করতো। সেই সুবাদে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২০ জুন লোকমান তাকে বিয়ের কথা বলে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলায় নিয়ে যায়। পরে তাকে জামালপুর শহরের দয়াময়ী পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।
এরপর থেকে ভিকটিমের মা-বাবা ভিকটিমকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে অবশেষে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের মা। জিডির সূত্র ধরে বুধবার শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল ফোর্স অভিযান চালিয়ে জামালপুর শহরের দয়াময়ী পতিতালয় থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুতই অপরাধীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত