রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মোহাম্মাদিয়া হোমস লিমিটেড এলাকায় নবজাতক হওয়ার খবরে বাসায় গিয়ে চাঁদাদাবি ও না পেয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া)কে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় হামলা ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছে। মামলা নম্বর ৪৮।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জুলি (৩০), পিতা-মোঃ হাফেজ নুরুল্লাহ করিম, তাহমিনা (২৫), পিতা-মৃত মালেক তালুকদার, রিয়া (৩৫), পিতা-মৃত কাদির মাঝি, মনি (১৯), পিতা-রাসেল, ৫ নয়ন (৩৬), পিতা- শামছুল হক, বাবু (২০) পিতা-নুর ইসলাম সরদার, পাহাড়ী (৫৪), পিতা-মৃত সাহেব আলী, জ্যোতি (২৫), পিতা-মৃত রুবেল, সুমি (৩৫), পিতা-মৃত নিতাই রঞ্জন, সাগরিকা (৩৫), পিতা- নুর মোহাম্মদ শেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুল হক।
তিনি বলেন, বাসায় গিয়ে চাঁদাদাবি ও না পেতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মাসুদ রানা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক। গত পাঁচ মাস আগে তার স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হয়। এরপর থেকে প্রায়ই হিজড়ারা চাঁদার জন্য আসত। তারা, ১০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু বাসায় প্রবেশ করতে না দিয়ে গেটের নিরাপত্তা কর্মী তাদের চলে যেতে বলে। এভাবে তারা বেশ কয়েকবার আসে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জুলি, রিয়াসহ অন্তত ১৫/২০ জন হিজড়া বাসার নিচে এসে পূর্বের দাবি করা টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় । এসময় তাদের চলে যেতে বললে বাসার নিরাপত্তা কর্মী জাহিদ ও শহিদুলের ওপর হামলা চালায়৷ পরে বাসার ভেতরে ঢুকে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। এমন কি মামলা বাদী সাংবাদিক মাসুদের ওপরও হামলা চালায় হিজড়ারা। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় অজ্ঞাত অনেকেই পালিয়ে যায়।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত