আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি কৃষিনির্ভর উপজেলা। এখানে ৬৭০ হেক্টর কৃষি জমিতে গ্রীষ্মকালীণ সবজি চাষ করেছে প্রান্তিক কৃষক। গত এক সপ্তাহের টানা ও ভারী বর্ষণে নিচু জমিতে সৃজিত গ্রীষ্মকালীণ সবজি ক্ষেতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাঁকরোল, বরবটি, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ছাল কুমড়া, ঢেঁড়স ক্ষেতের ক্ষত কৃষকের মনে দাগ লেগেছে । এই দুর্যোগকালীণ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিতে মাঠে নেমেছে কৃষিবিদেরা।
সরজমিন ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি নির্ভর উপজেলার প্রান্তিক কৃষক এবার গ্রীষ্মকালীণ সবজি চাষ করেছেন ৬০০ হেক্টর জমিতে। সৃজিত শাক-সবজি'র মধ্যে ৯৮ হেক্টরে কাঁকরোল, ৯২ হেক্টরে বরবটিসহ বেগুন, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের শাক,সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এখানকার কৃষকেরা। শাক-সবজি'র ফসলের অর্ধেক প্রান্তিক কৃষক ইতোমধ্যে বাজারজাত করলেও অবশিষ্ট ফসল ফুলে-ফলে ভরা যৌবন থাকা ক্ষেতে টানা বৃষ্টির পানিতে সয়লাব!
উপজেলার গচ্ছাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আশিষ কুমার নাথের কাঁকরোল ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতকের কাঁকরোল ক্ষেতের পানি সরে গেলেও গত বুধবার বিকেলে ঘণ্টাখানেকের সূর্যালোতে গাছ মরতে শুরু করেছে! পরে আশিষের সাথে কথা হলে তিনি আশাহত কণ্ঠে বলেন, আমি কাঁকরোল ক্ষেতের অর্ধেক পুঁজি তোলার আগেই বৃষ্টি আমার সব কেঁড়ে নিছে! আশিষ কুমার নাথ ছাড়াও উপজেলার আরও কয়েকশ প্রান্তিক কৃষকের অবর্ণনীয় ক্ষতির চিহ্ন সর্বত্র চোখে পড়ে! কৃষকের অবর্ণনীয় ক্ষত আঁচ করতে পেরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশে প্রান্তিক কৃষকদের দুর্যোগকালীণ সময়ে পরামর্শ ও সঠিক নির্দেশনায় মাঠে নেমেছেন একঝাঁক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ বলেন, সপ্তাহের অধিক সময় উপজেলায় টানা ও ভারী বর্ষণে গ্রীষ্মকালীণ ফসলের কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে কৃষকের পাশে থেকে সঠিক পরামর্শ ও ওষধ ব্যবহারে কৃষকদের কাছে গিয়ে সেবা দিতে কৃষি কর্মকর্তা আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, উপজেলায় শুধু গ্রীষ্মকালীণ শাক-সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত ৮/৯ দিনের টানা ও ভারী বৃষ্টিতে অনেক জমিতে পানি জমে সবজি ক্ষেতে কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রান্তিক কৃষকের কাছে থেকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কৃষকেরা ছত্রাক নাশক ব্যবহার করে গাছ ও ফসলের ক্ষতিরোধ করতে পারে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত