মোঃ আব্দুর রব, তিনি একাধারে একজন সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, লাইব্রেরী সংগঠক, রাজনীতিক জনপ্রতিনিধি, পল্লি চিকিৎসক এবং সাংবাদিক। তার জীবনের একটি লম্বা সময় ধরে সমাজ সংস্করণে তিনি মানবতার সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিশেষ করে তিনি একজন গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে তার এলাকার গরীব-দূখী ও অসহায় অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে না পারা মানুষদের তিনি যৎসামান্য টাকা এবং অধিকাংশ সময়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বিপদ আপদে সব সময় থেকেছেন মানুষের পাশে। সমাজের মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থভাবে দু’হাত ভরে দেওয়া সেই মানুষটিই আজকে তার চরম বিপদের মূহুর্তে সমাজের মানুষের নিকট দু’হাত পেতে চাইছেন মানবিক সহায়তা। বলছি যশোরের শার্শার ডিহি ইউনিয়নের পাকশিয়ার শিববাস গ্রামের মৃত আমানত আলির ছেলে সাংবাদিক ও পল্লি চিকিৎসক আব্দুর রব (৬৩) এর কথা। সাংবাদিক আব্দুর রব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়েছে। জরুরি বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। সাংবাদিক আব্দুর রব তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রানার, দৈনিক লোকসমাজ, দৈনিক স্পন্দন, দৈনিক সমাজের কথা ও সর্বশেষ দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার পাকশিয়া প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। পারিবারিক ও অসুস্থতা জনিত কারণে সম্প্রতি সময়ে তিনি আর সাংবাদিকতায় সক্রিয় নেই। একই সময়ে তিনি পাকশিয়া বাজারে পল্লি চিকিৎসক হিসেবে এলাকার মানুষের সেবা করেছেন। অবদান রেখেছেন এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ডিহি পাবলিক লাইব্রেরির অগ্রসরেও অনবদ্ধ ভূমিকা। ছিলেন ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জনপ্রতিনিধি মেম্বর। আব্দুর রব ও তার পরিবার জানিয়েছেন, গত ৮ জুলাই মধ্যরাতে আব্দুর রব নিজ বাড়ি শিববাস গ্রামে প্রচণ্ড বুকের ব্যাথা অনুভব করেন। স্বজনরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বুকে রক্তচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। দ্রুত এনজিওগ্রাম করে হার্টে রিং পরানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এজন্য তাকে খুলনায় রেফার করেন ডাক্তাররা। তাকে খুলনার সিটি হাসপাতালে নিয়ে এনজিওগ্রাম করা হলে রিপোর্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে। এজন্য চিকিৎসকরা দ্রুত বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দেন। আর এজন্য তাকে ঢাকায় নিতে বলা হয়েছে। বর্তমান তার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি বিছানাই ছটফট করছেন। দ্রুত তাকে ঢাকায় নিয়ে বাইপাস সার্জারি করানো না গেলে যেকোন মূহুর্তে একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসায় নিজস্ব ও ধারদেনা করে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক ভাবে নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে পড়ায় তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। তিনি একমাত্র অভিভাবক হওয়ার অর্থাভাবে ভোগা তার অসহায় পরিবার চিকিৎসা করা নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন। প্রবীণ এই সাংবাদিক, পল্লি চিকিৎসক ও সমাজ সেবককে চিকিৎসার জন্য সর্বসাকুল্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার মত প্রয়োজন। “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা ও বন্ধু” ভারতীয় জনপ্রিয় শিল্পী ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী এই গানটির কথার মধ্যে অসহায় মানুষের মানবিক সহায়তা পাবার যে আকুতি। তার এই চরম সংকটময় বিপদের মূহুর্তে তিনি ও তার পরিবার তার সুস্থ্য হয়ে উঠতে চিকিৎসার খরচের জন্য সরকার, উচ্চবিত্ত এবং সমাজের মানুষের নিকট মানবিক সহায়তা পাবার সেই আকুতিই জানিয়েছেন।
মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবেঃ
সুরাইয়া বেগম
একাউন্ট নম্বর ০২০০০১৬২০১৯৪৪
অগ্রণী ব্যাংক লি.গঙ্গানন্দপুর ব্রাঞ্চ, ঝিকরগাছা, যশোর।
এছাড়াও ০১৭৪০-৮৪৬৭০৯ (যোগাযোগ ও বিকাশ)।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত