চট্টগ্রামের চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার বন্যা কবলিত এলাকায় দুইদিনেও পৌঁছেনি পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা। আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নেওয়া বন্যাকবলিত মানুষেরা এতে পড়েছেন মহাবিপাকে। এই দুর্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও পাশে নেই বলে অভিযোগ তাদের। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, দুর্গতের সহায়তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে এলাকা দুটির চারিদিকে থৈ থৈ পানি। ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলের ক্ষেত-পুকুর। পানির সাথে ভেসে গেছে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু। ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে উঠেছেন বন্যার্তরা।
দুর্গতদের অভিযোগ, আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই পেলেও গত দুই দিনে কোনো আসেনি সাহায্য। পাশে দাঁড়াননি কোনো জনপ্রতিনিধিও।
৫ জেলায় পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি মানুষ৫ জেলায় পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি মানুষ
বন্যা দুর্গতদের একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো মেম্বার চেয়ারম্যান আমাদের এসে দেখে নাই। সারাদিন খেতে পাইনি। রান্নাও করতে পারিনি। আমরা খুব কষ্টে আছি।’
বন্যার্তদের পাশে না থাকার অভিযোগের যুতসই কোনো জবাব নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কোনো পর্যায় থেকে এখনও সাহায্য পৌঁছেনি, বলছেন তারা।
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনচট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন
চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলী বলেন, ‘চেয়ারম্যান যদি জেলা প্রশাসন থেকে পায় তাহলে এখানে দেবে এরকমই বলেছে। যে সময় মানুষের পাওয়ার দরকার সে সময় যদি না পায়, পরে পেলে কি সে সময় এগুলো কাজে আসবে?’
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সব ধরনের সহায়তা ও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘প্রায় ৪শ টনের বেশি চাল আমরা বরাদ্দ দিয়েছি। শুকনো খাবার আমরা বরাদ্দ দিয়েছি। এর বাহিরে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরাল স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
গত কয়েকদিন টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার ১৪টিই প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত