কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানাধীন সরকারি খাদ্য গুদাম এলাকায় সন্ত্রাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সঞ্জয় কুমার প্রামানিক(৩৬) নামে এক যুবককে নিহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
গত বুধবার (২ আগষ্ট) রাত সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ছোট ভাই সম্পদ কুমার প্রামানিক জানান, গত বুধবারে আমাদের স্থানীয় একটি মন্দিরের কমিটিকে কেন্দ্র করে, এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে দশটার দিকে শোভন সহ শুটার গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য আমার ভাইকে একা পেয়ে সরকারি খাদ্য গুদামের সামনেই আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। যেহেতু আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাই প্রথমে আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে আমরা আমার ভাইকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালের দিকে আমার ভাই মারা যান। এ ঘটনায় আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। মন্দির কমিটির নিয়ন্ত্রণ করবে হিন্দু সম্প্রদায় এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। কিন্তু শুটার গ্যাংয়ের কর্ণধার শোভন এবং তার বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরে এই মন্দিরের হিসাব এবং পরিচালনা পরিষদে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আসছিল। তাই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় এবং আমার ভাই এর প্রতিবাদ করে নতুন করে মন্দির কমিটি করার জন্য মনস্থির করেছিল। এই মন্দিরের কমিটিকে কেন্দ্র করেই আমার ভাইয়ের উপর এই ঘটনাটি ঘটে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও জানান,কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার কাচারী পাড়ার শ্রী দুলাল চন্দ্র প্রামাণিক এর ছেলে সে। বর্তমানে আমরা কুষ্টিয়া ভেড়ামারা খাদ্য গুদামের কোয়ার্টারে থাকি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সঞ্জয় কুমারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।