পিরোজপুরে নানা আয়োজনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাফিউর রহমান। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম এমপি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান, জেলা গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এর যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধুবী রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন একজন যোগ্য সহধর্মীনি তিনি জাতির পিতার পাশে থেকে তার রাজনৈতিক জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এই মহিয়সী নারী ১৯৩০ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে উদ্যোক্তাদের সেলাই মেশিন ও অনুদানের টাকা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।