মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়,শার্শা, (যশোর)
হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) ও পবিত্র কোনআন নিয়ে কটুক্তিকারী আসাদুজ্জামান আসাদ নুরের শাস্তির দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল। নাস্তিক আসাদ নুরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সোমবার তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু নুর পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন মাতুব্বরের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ নুর। ২০১৭ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী ত্যাগ করে। এরপর থেকে পরিবারের সাথে তার যোগযোগ নেই বলে দাবী করেন তার পরিবার। কিন্তু তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থেকে “আসাদ নুর ব্লগ” থেকে কোরআন শরীফ, হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ২০২০ ও ২০২১ সালে সাইবার ট্রাইবুনালে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় এবং ঢাকায় মামলা হয়।
ওই মামলা দুটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি রয়েছে। কিন্তু তিন বছরেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত ৪ আগষ্ট তার “আসাদ নুর ব্লগ” থেকে হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) কে মরুভুমির ডাকাত বলে আখ্যায়িত করে এবং কোরআন শরীফ নিয়ে কটুক্তি করে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। নাস্তিক আসাদ নুরের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠে। তার ফাঁসি দাবী করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম উত্তল হয়ে উঠে। আসাদ নুরকে গ্রেপ্তার করতে সোমবার তার গ্রামের বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে বাড়ীতে পায়নি।
আসাদের পরিবারের দাবী ২০১৭ সালে আসাদ বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়, এরপর থেকে তাদের সাথে কোন যোগযোগ নেই কিন্তু স্থানীয়রা দাবী করছেন আসাদের সাথে তার পরিবারের যোগাযোগ রয়েছে। আসাদের দেয়া অর্থ দিয়েই তারা জীবন যাপন করছেন। আসাদের অবস্থান তারাই জানেন। কিন্তু পুলিশি হয়রানীর ভয়ে তারা সব লুকিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, ২০২১ সালে আসাদ এলাকায় ফিরে এসে নিজেকে সুধরে নিয়েছেন বলে দাবী করে বাড়ীতে অবস্থান নেন। কিছু দিন পরে তিনি আবার বাড়ী থেকে চলে যান। পারিবারের সহযোগীতায় আসাদ দেশের বাহিরে চলে গেছে। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও কোরআন নিয়ে কটুক্তি করায় তার স্বজনরা আসাদের ফাঁসি দাবী করেছেন।
স্থানীয় জালাল মৃধা কটুক্তিকারী আসাদ নুরের ফাঁসির দাবী করে বলেন, দ্রুত আসাদ নুরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির সেরনিয়াবাদ বলেন, আসাদ নুরকে গ্রেপ্তার করতে তার গ্রামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু তার পরিবারের লোকজনকে পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ নুরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও ঢাকায় সাইবার ট্রাইবুনালে দুইটি মামলা আছে। দুটি মামলায়ই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম বলেন, আসাদ নুরকে আমরা খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না। শুনতে পাচ্ছি তিনি দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।