বন্যা-ভূমিধস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এরই মধ্যে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
অতিবৃষ্টিতে তৈরি হওয়া জলাবদ্ধতার কারণে গত ৫ দিন ধরে পানির নিচে চট্টগ্রাম শহর। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরো দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার কারণ সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার কারণ সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে
বন্দরনগরীতে ৩০ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড হয়েছে গত রোববার। এছাড়া চলতি মাসে যেখানে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল ৫৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার সেখানে প্রথম ছয়দিনেই হয়েছে ৫শ ৫০ মিলিমিটারের বেশি। অতিবৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিনফুট উঁচু জোয়ার।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে ভারি বর্ষণের কারণে দীঘিনালার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ। জেলায় ১৩৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় ২ শতাধিক স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এছাড়াও লংগদু, নানিয়াচর, রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি নিম্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রাঙামাটি শহরের ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে, পিরোজপুরে ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের কারণে প্রায় ৩'শ মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত