রিপন ওঝা, মহালছড়ি
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ প্রায় এলাকায় ছোটখাট পাহাড় ধ্বসের তথ্য পাওয়া গেছে, ফলে জনজীবনে একধরনের আতংক কাজ করছে। এদিকে এ বৃষ্টিপাতে কাপ্তাই লেকের মাঝে বয়ে চলা চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় মহালছড়িতেও বর্ষাকালীন চলমান ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার হতে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ভারি বর্ষণে রুপ নেয়, যা অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে কর্মহীন দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন বাজারের শ্রমজীবীরা।
মহালছড়িতে হাটবাজার বসে মঙ্গলবার এই বাজারেই এলাকার সবচেয়ে বেশি পাট কেনাবেঁচা হয় উন্মুক্ত স্থানে।
বাজারের সবজি ব্যবসায়ি "রেম্রা মারমা" মাথায় হাত দিয়ে
চিন্তা করে বলছেন,চলমনান লাগাতার বৃষ্টির কারণে হাটবাজার মঙ্গলবারে কৃষকরা বাজারে কাঁচা তরকারি সবজি নিয়ে কিভাবে আসবে। বৃষ্টির কারণে গরু ছাগল ও হাঁস-মুরগির বাজারে বেচাকেনা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বৃষ্টিতে বিক্রি কমে যাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন বাজারের সকল ব্যবসায়িগণ।
টমটম চালক মোঃ সুজন মিয়া বলেন, 'মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে লোকজন ঘরের বাইরে আসে না, তাই টমটমের ভেতর পলিথিন মুড়ি দিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ নেই।' বিদ্যুৎ এর ঘনঘন যাওয়া আসার সমস্যায় চার্জও করতে পারছি না।
চলমান বৃষ্টিতে মৎস্য আহরণকারি জেলেরা ও মৎস্য ব্যবসায়ি মোঃ মালেক মিয়া অত্যন্ত খুশি হয়ে বলেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ'র অশেষ দোয়ায় বৃষ্টি দান করছেন,এই বৃষ্টিতেই ছড়া, নালা, নদী যেন ভরে যায়। আর ভরে গেলেই আমাদের মতো জেলেরা প্রাণে বাঁচবে, মৎস্য ব্যবসায়িগণ তাদের ব্যবসায় মনোযোগী হতে পারবে।
মহালছড়ি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসরুল্লাহ জানান মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে গত মে মাস হতে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা চলমান আগস্ট বন্ধ রয়েছে। বর্তমান এসময়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদী/লেকের পানি বাড়তে থাকবে। পানি বেশি হলে আশার করা যায় এবার মাছ বেশি হতে পারে।
অতিবৃষ্টির কারণে প্রতি এলাকার শিক্ষার্থীগণ নিজ নিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে যথাসময়ে আসতে পারছে না। ফলে প্রতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়ে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপুল বিকাশ খীসা বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিয় শিক্ষার্থীগণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলেও বাসায় মনোযোগ সহকারে অধ্যয়নের আহ্বান জানান।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত