নিজস্ব সংবাদদাতা
খাগড়াছড়িতে চেক প্রত্যাখানের দুটি মামলায় ইটভাটা ব্যবসায়ী মো. সানাউল্লাহ্ ওরফে সালাউদ্দিন মাঝি (৫১) -কে পৃথক পৃথক সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা যুগ্ন ও দায়রা জজ মো. খোরশেদ আলমের আদালত ব্যবসায়ী আবদুস সালাম -এর ৪৫ লাখ টাকার চেকের বিপরীতে দায়ের করা মামলায় ২৭ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের সাজা প্রদান করেন।
এর আগে চলতি বছরের ৯-ই ফেব্রুয়ারী স্কুল শিক্ষক মো. মিল্লাত হোসেনের ১৪ লাখ টাকার চেকের বিপরীতে দায়ের করা মামলায় একই আদালত ব্যবসায়ী মো. সানাউল্লাহ্-কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের সাজা প্রদান করেন। তবে করোনাকালীন জটিলতায় আদালত বন্ধ থাকার ফলে এতোদিন তাকে ওই মামলায় কারাগারে যেতে হয়নি। রবিবার ব্যবসায়ী আবদুস সালাম –এর দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ ধার্য্য ছিলো। এই দিন তিনি আদালতে হাজির হলে আদালত আসামীর উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, ‘ব্যবসায়িক লেনদেনের সূত্র ধরে আমার মক্কেল মো. আবদুস সালাম-কে গত ২০১৭ সালের ৩০-শে মে প্রাপ্য টাকা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধের শর্তে ৪৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন খাগড়াছড়ি শহরের শব্দমিয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. সানাউল্লাহ্। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা না হওয়ায় প্রাপক মো. আবদুস সালাম একই বছরের ১৯-শে জুলাই আদালতে চেক প্রত্যাখ্যানের একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি হন মো. সানাউল্লাহ্। প্রায় তিন বছর পর রবিবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে’।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমার সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। একপর্যায়ে আমি তার বিরুদ্ধে মামলাটি করতে বাধ্য হই। শুধু যে আমার সাথেই এমনটি হয়েছে তা নয়, তার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি আদালতে এরকম চেক প্রত্যাখানের আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে’।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত