শাহীন আহমেদ রাজ, সাভারঃ
সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল চারালপাড়ার রবিউল ইসলাম (২৮)নামের এক ন্ব্যাক্তিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৭জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৫জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রবিউল ইসলামের বোন ফারজানা আক্তার ঝিলিক।
এঘটনায় জড়িত ৫জনকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে তাদের ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে ফরহাদ ভূইয়া বাদে চারজন এজাহারভুক্ত আসামিকে ধামরাই থানা পুলিশ তাদের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত-২ ঢাকা এর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে সাংবাদিকদের কে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- সাভারের আশুলিয়া থানার উত্তর গাজীরচট ভুইয়াপাড়ার মৃত সাঈদ ভুইয়ার ছেলে আলম ভুইয়া, ছেদু ভুইয়ার ছেলে সেলিম ভুইয়া, আলম ভুইয়ার ছেলে আজাহার ভুইয়া ও হান্নান ভুইয়ার ছেলে ফারুক ভুইয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস সাংবাদিকদের কে বলেন, রবিউল হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থানা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। এরমধ্যে চারজন এজাহারভুক্ত আসামি। ফরহাদ ভুইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষী না হলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ মামলার অন্য আসামিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে রবিউলের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ। রবিউলকে ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের হাটিপাড়া এলাকা আরিফুর রহমানের পুকুরে পাশে রক্তাক্ত বস্তায় নড়াচড়া করতে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে বস্তার ভেতর থেকে রবিউলকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত রবিউল ইসলাম সাভারের আশুলিয়া থানার বাইপাইল চারালপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন পোশাক কারখানায় পোশাক তৈরি কন্ট্রাকে কাজ নিতেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৮ জুন আশুলিয়া থানার উত্তর গাজিরচট ভুইয়াপাড়ার আলম ভুইয়ার ছেলে রাশেদ ভুইয়া বাদি হয়ে রবিউলসহ ২০জনকে আসামি করে একটি মারামারির মামলা করেন (মামলা নং ৮৪)।
অপর দিকে ৮৪ নং মামলার ৩ নং আসামি মো.রুবেলের বাবা জুলমত আলী বাদি হয়ে গত ৩ জুলাই রাশেদ ভুইয়াসহ ৩৬ জনকে আসামি করে বাড়িঘর ভাংচুর ও অপহরণসহ নারী নির্যাতনের মামলা করেন (মামলা নং ৪)।