মোঃ মহাসিন মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৩০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা।এ কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট ১১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৮২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। ৩০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক সহ ৫৭১ টি সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৪৭২ জন। চলতি দায়িত্বের পদ সহ ৯৯ টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। দু'একজন শিক্ষক দিয়েও পাঠদান হচ্ছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এরমধ্যে উপজেলার দুর্গম এলাকার বিদ্যালয় গুলোতে নিয়মিত শিক্ষক না আসার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও দুর্গম এলাকার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ডেপুটেশনে চলে গেছে। শিক্ষকদের মনগড়া বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, শিক্ষক পদ শূন্য, নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, মনগড়া বিদ্যালয় পরিচালনা, ডেপুটেশন সহ নানা কারণে দিনদিন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে হাজার হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা। এতে তলানিতে যাচ্ছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মানও।
উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষকরা জানান, কখনোই পর্যাপ্ত শিক্ষক পাইনি তারা। একদিকে প্রশাসনিক দিক সামাল দিতে হয় অন্যদিকে বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের পড়াতে হচ্ছে। একসঙ্গে দু'টা দায়িত্ব পালন করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হ্যাপি চাকমা বলেন, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়নের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ হবে। আর সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলোতে অচিরেই জেলা পরিষদের আওতাধীন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি।
দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মনগড়া আসা-যাওয়া ও বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে কোনো বিদ্যালয়ে এমন হচ্ছেনা। অজান্তে যদি হয়ে থাকে সেসমস্ত শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত