প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তিনিও অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেবেন।
বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা, মা, ভাই সব হারিয়েছে। বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের জনগণই তো আমার সংসার। আপনারাই আমার আপনজন। আপনাদের মাঝে খুঁজে পাই আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ, বোনের স্নেহ। যদি প্রয়োজন হয় এ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বাবার মতো জীবন দিতেও আমি প্রস্তুত।’
তিনি বলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করার, সেই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। যেখানে বিএনপি দেশ ধ্বংস করেছে, সেখানে আওয়ামী লীগ দেশ সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখন উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ২০০১ সালে যখন বিএনপির খালেদা জিয়া সরকার গঠন করে তখন তারা দুই হাতে লুটপাট করেছে। তারা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে; তখন দেশে অভাব এবং মঙ্গা দেখা দিয়েছে। আবার ২০০৮ সাথে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মঙ্গা দেখা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কয়লার দাম ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েকদিন কষ্ট হয়েছে। এরপর এখন ঠিক হয়ে গেছে। বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আমি খালি হাতে আসিনি। আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। যাতে প্রত্যেকটা উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুকে এক বিদেশী সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল ‘এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আপনি কীভাবে চালাবেন?’ তখন বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেছিলেন, আমার দেশে সোনার মাটি আছে এবং কাজ করার মতো মানুষ আছে। সুতরাং আপনারাও যতটুকু সম্ভব কৃষি আবাদ করেন। কারো এক বিন্দু পরিমাণ জমিও যেন খালি না থাকে।
এর আগে বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে তিনি ২৭ উন্নয়ন প্রকল্প ও ৫ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এরপর রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশ মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভা শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দেবেন। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত