টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মস্কোর বহুতল ভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) চালানো এই হামলার মাধ্যমে চলমান যুদ্ধকে রাশিয়ার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। খবর বিবিসির।
মস্কোর মেয়র সের্জেই সেবেনিয়ান জানিয়েছেন, রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হলেও সেগুলোর একটি এর আগে মস্কো সিটির যে ভবনে ড্রোন আঘাত হেনেছিল সেই একই ভবনে গিয়ে আছড়ে পড়ে। আঘাত হানা মস্কোভা সিটি কমপ্লেক্সের ২১ তলার সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামনের কাঁচের ১৫০ মিটারেরও বেশি ধ্বংস হয়ে গেছে।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান বিধ্বংসী ইউনিট ইউক্রেনের একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং মস্কোকে লক্ষ্যস্থল করা কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
মস্কোর পাশাপাশি রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে ইউক্রেন।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, কৃষ্ণসাগরে নৌবাহিনী ও কয়েকটি বেসামরিক জাহাজে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে এসব হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারাও। মঙ্গলবার খেরসনের একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় রাশিয়া। এতে কয়েকজন হতাহত হন।
অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন ‘পরাজিত ব্যক্তি’ হিসেবে মারা যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রাজিলের গ্লোবো টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এমন মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ম্রেট্রো।
জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশ বাহিনী বুঝতে পেরেছে যে, ইউক্রেনে তারা জিততে পারবে না এবং ক্রেমলিনের অন্যান্য যুদ্ধের মতো এই সংঘাত কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, পুতিন এত বছর বাঁচবে না। তার অস্তিত্ব থাকবে না। সে মারা যাবে, ১০ বছরের বেশি বাঁচবে না। এটা নিশ্চিত, পরম সত্য।