অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে জুলাই মাসে ভয়ঙ্কর রূপে ছিল ডেঙ্গু। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই হিসাবেই ২০১৯ সালকে ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনসহ ওই মাসে মৃত্যু ২০৪ জন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভয়াবহতার মাত্রা আরো বাড়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এ অবস্থায় মৃত্যু ও আক্রান্তদের জটিলতা কমাতে ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সেবা গ্রহণের প্রাণপণ চেষ্টা করছেন রোগী ও স্বজনরা। তীব্র শয্যা সংকট। বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা। বাদ পড়েনি বেসরকারি হাসপাতালও। সংকট আছে সেখানেও। দেশে ক্রমবর্ধমানহারে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় বর্তমান পরিস্থিতি এক প্রকার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও।
এ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। এতে তাঁদের মৃত্যু ঝুঁকি কমবে। আমরা দেখেছি যে, যারা দেরি করে হাসপাতালে আসে তাঁদের মৃত্যু হয়।
চলতি বছর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাস জুলাই। জুনের তুলনায় মাসটিতে রোগী বেড়েছে সাত গুণ। মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের, আক্রান্ত ৪৪ হাজার, যা ২০১৯ সালের ভয়াবহতাকেও হার মানিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে রোগীর পরিস্থিতি। তাই বেড়েছে মৃত্যু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ও সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, গরমটা বেড়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে; এসবের জন্যই কিন্তু আমরা এ দুর্যোগটা দেখলাম। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয় ২০২২ সালে। সে বছর ৬১ হাজার রোগীর মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এবছর এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের।