ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পারিবারিক কলহের জের ধরে নাজমা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৩০ জুলাই) রাত ১২টার দিকে উপজেলার পদমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা খাতুন ওই গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী চর ত্রিবেনী গ্রামের রইচ উদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন নাজমা খাতুন। তার স্বামী রইচ উদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করে ত্রিবেনী গ্রামে থাকতেন।
নিহত নাজমার ভাবি শাহানাজ খাতুন বলেন, আমরা ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে উঠে দেখি আমার ননদ নাজমার রক্তাক্ত দেহ বিছানার ওপর পড়ে আছে। এ বিষয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ভাবির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহত নাজমা খাতুনের ছোট ছেলে তাওজিদ হোসেন(৭) বলেন, রাতে তার মা বাবা ঝগড়া করছিলেন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আব্বু বটি দিয়ে মাকে কোপ দেয়। তারপর মা মারা যায়। আব্বু পালিয়ে গেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে উপজেলার পদমদী গ্রাম থেকে নাজমা খাতুনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।