কয়লা সংকটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। শনিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কয়লা সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ আছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উৎপাদন বন্ধ হয়। আগামী ৭-৮ আগস্ট উৎপাদন চালু হতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। উৎপাদন শুরুর সাত মাসের মধ্যে কেন্দ্রটি এ নিয়ে ছয়বার বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘন ঘন বন্ধ ও চালু করতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু করার পর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি জটিলতায় উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি প্রথম উৎপাদন বন্ধ হয়। কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এক মাসের মাথায় ফের কেন্দ্রটি চালু করা হয়।
একই সংকটে গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রটি আবার বন্ধ করা হয়। তিন দিনের ব্যবধানে পুনরায় চালু করা হলে আবারও বন্ধ হয় ২৩ এপ্রিল।
এরপর কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ৩০ জুন আবার উৎপাদন বন্ধ হয়। ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই শুরু হয় উৎপাদন। ফের কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই বন্ধ হয়।
শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।
কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক প্রয়োজন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একবার বন্ধের পর চালু করতে এক-দেড় দিন সময় লাগে। প্রতিবার চালু করতে প্রয়োজন হয় এক লাখ লিটার জ্বালানি তেল, যার বাজারমূল্য কোটি টাকার বেশি। চালুর পর শুরু হয় কয়লার ব্যবহার। এভাবে ঘন ঘন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ ও চালুর ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত