পোশাক রপ্তানির আড়ালে ৩ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মূলত পণ্যের দাম কম দেখিয়ে ১৯টি প্রতিষ্ঠান এ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এর ফলে দেশের বাইরে ভাবমূর্তি সংকটের শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা এবং নতুন বাজার হারানোর ভয়ও রয়েছে।
এতদিন আমদানি পণ্যের দাম কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করতো একশ্রেণির আমদানিকারক। এবার রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রেও এমন কারসাজির তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রে নথি জালিয়াতি ছাড়া চালানেই পণ্যের আসল দাম গোপন করা হয়েছে।
রপ্তানি করা প্রতি পিস শার্টের মূল্য দেখানো হয়েছে তিন টাকা আর প্যান্ট মাত্র দুই টাকা। অথচ এগুলোর প্রকৃত মূল্য ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার বেশি। বাড়তি টাকা সংশ্লিষ্ট দেশে গ্রহণ করে সেখানেই রেখে দিচ্ছে এসব ব্যবসায়ী।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, ৩ বছরে ৪৪২টি চালানে অন্তত ১৪৭ কোটি টাকা পাচার করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৯টি প্রতিষ্ঠান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত কারখানা থেকে স্টক লটের পোশাক কিনে তা রপ্তানি করে এমন কারসাজি চলছে। এসব চালানের গন্তব্য ছিল দুবাই।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, এতে বিদেশে ভাবমূর্তি সংকটে পড়বেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। চালান শুল্কায়নের সময় মূল্যের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর অবহেলা রয়েছে বলেও মনে করছে তারা। এজন্য বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে স্ক্যানার বসানোর সুপারিশ তাদের।
১৯টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কেউ জালিয়াতিতে জড়িত কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত