• সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দের পদত্যাগের দাবিতে লিপলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সভা গোয়ালন্দে বৃহৎ পরিসরে মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন  গোয়ালন্দে হাসপাতালে রোগীর চাপ, হিমশিম ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী মানিকছড়িতে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ ক্যান্সার চিকিৎসা ও দরিদ্র কন্যার বিয়েতে হাফিজ আহমেদের অনুদান দৌলতদিয়ার প্রকাশ্যে বসে মাদকের হাট! এক ডজন কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ী বহাল তবিয়তে লামায় যে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী জামায়াতের ওলামা বিভাগের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত মিলনপুর বন বিহারে পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত তিন পার্বত্যঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরোনা পরিবর্তে অস্থায়ী চেয়ারম্যানে নিয়োগ পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা

রাজধানীতে একই ফ্যানে ঝুলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৯১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীর পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের একটি বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের একটি টিনশেড ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মৃতরা হলেন: দিনমজুর জুয়েল (২৮) ও তার স্ত্রী গৃহপরিচারিকা নাসরিন আক্তার (২২)। তারা দুজনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের। জুয়েলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তার বাবার নাম আজাদুর খন্দকার। আর নাসরিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।

স্বজনরা জানান, গত সাড়ে ৩ বছর আগে জুয়েল ও নাসরিনের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান হলেও ৯-১০ মাস আগে সে সন্তান মারা যায়।
মৃত নাসরিনের বড় ভাই টিটু মিয়া জানান, গত ৮-৯ মাস ধরে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে নোয়াখালী বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জুয়েল ও নাসরিন। পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন টিটু মিয়া। গত এক সপ্তাহ যাবৎ নাসরিন জ্বরাক্রান্ত ছিলেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি কাজ থেকে বাসায় ফেরেন। তখন তার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে জানতে পারেন, দুপুরের পর থেকে নাসরিন এবং জুয়েলকে তাদের রুমের দরজা খুলতে দেখেননি তারা। রান্না করতেও দেখেননি। তখন টিটু মিয়া তাদেরকে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে কৌশলে তাদের রুমের দরজা খুলেন। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখেন একটি ফ্যানের সাথে দুইটি ওড়না বেঁধে জুয়েল ও নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেন।

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সিআইডির টিম যায়। তারাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টিটু মিয়া জানান, নাসরিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না। জুয়েলের হাতেও কোনো কাজকর্ম না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা দুজন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তাদের।

এদিকে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের ১৮৩/৩ নম্বর ওই টিনশেড বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, অর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্বামী ও স্ত্রী একই ফ্যানের সাথে আলাদা দুটি ওড়না বেঁধে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ