• বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাতে পথে ঘুরে ঘুরে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন- পুলিশ সুপার  খাগড়াছড়িতে পরিবেশ প্রকৃতিবান্ধব নিরাপদ চাষাবাদে  কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত  বান্দরবান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের- জান্নাতুল ফেরদৌসের বিদায় অনুষ্ঠিত বান্দরবানে ইমাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বার্মিজ অজগর সাপ অবমুক্ত চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার কাপ্তাইয়ে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি শীর্ষক অবহিতকরণ সভা কে এই অসহায় বৃদ্ধ : কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে নিদারুণ কষ্টে মানবতার জীবন যাপন করছেন আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে নানা আয়োজন কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী সোহেলকে চট্টগ্রামের লোহাগড়া হতে গ্রেফতার সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডারের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় মানিকছড়িতে হত দরিদ্র কৃষক রাকিবের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন জামায়াত নেতাকর্মীরা

রাজধানীতে একই ফ্যানে ঝুলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৫৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীর পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের একটি বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের একটি টিনশেড ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মৃতরা হলেন: দিনমজুর জুয়েল (২৮) ও তার স্ত্রী গৃহপরিচারিকা নাসরিন আক্তার (২২)। তারা দুজনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের। জুয়েলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তার বাবার নাম আজাদুর খন্দকার। আর নাসরিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।

স্বজনরা জানান, গত সাড়ে ৩ বছর আগে জুয়েল ও নাসরিনের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান হলেও ৯-১০ মাস আগে সে সন্তান মারা যায়।
মৃত নাসরিনের বড় ভাই টিটু মিয়া জানান, গত ৮-৯ মাস ধরে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে নোয়াখালী বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জুয়েল ও নাসরিন। পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন টিটু মিয়া। গত এক সপ্তাহ যাবৎ নাসরিন জ্বরাক্রান্ত ছিলেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি কাজ থেকে বাসায় ফেরেন। তখন তার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে জানতে পারেন, দুপুরের পর থেকে নাসরিন এবং জুয়েলকে তাদের রুমের দরজা খুলতে দেখেননি তারা। রান্না করতেও দেখেননি। তখন টিটু মিয়া তাদেরকে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে কৌশলে তাদের রুমের দরজা খুলেন। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখেন একটি ফ্যানের সাথে দুইটি ওড়না বেঁধে জুয়েল ও নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেন।

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সিআইডির টিম যায়। তারাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টিটু মিয়া জানান, নাসরিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না। জুয়েলের হাতেও কোনো কাজকর্ম না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা দুজন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তাদের।

এদিকে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের ১৮৩/৩ নম্বর ওই টিনশেড বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, অর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্বামী ও স্ত্রী একই ফ্যানের সাথে আলাদা দুটি ওড়না বেঁধে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ