রাজধানীর মিরপুর ১১ এর স্বর্ণপট্টি এলাকায় বন্ধুদের সাথে মদ পার্টি করে প্রাণ গেল সাজ্জাদ হোসেন শান্ত (২০) নামে এক যুবকের। এ ঘটনায় রিপন নামে আরো একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই)ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শান্ত।
শান্তর বন্ধু রিয়াজ বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে তিন বন্ধু মিলে বাসায় মদ্যপান করে।রাত থেকে শান্ত ও রিপন দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমি খবর পেয়ে শান্তর বাসায় যাই। আরো একজন বন্ধু ছিল তাকে আমরা চিনতে পারিনি। পরদিন সোমবার শান্ত ও রিপন দুজনে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাসায় ফার্মেসি থেকে স্যালাইন কিনে এনে একজনের মাধ্যমে লাগাই। পরে রিপনকে মিরপুর ১১ নাম্বার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং শান্তকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেলে মেডিসিন বিভাগে তাকে ভর্তি করা হলে আজ ভোরে মারা যায় শান্ত।শান্ত বঙ্গ কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতো।
এদিকে এই ঘটনায় সারাদিন নাটকীয়তা চলে। নিহতের বন্ধু রিয়াজের সাথে থাকা এক যুবক মৃত্যু হওয়ার পর ভর্তির কাগজ নিয়ে মিরপুরে চলে যায়। পরে তাকে ফোন দিয়ে ভর্তির কাগজ আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ওই কাগজ মিরপুরে নিয়ে যাওয়ায় ভোররাতে ওয়ার্ডে থাকা চিকিৎসকের ডিউটি বদলি হওয়ার কারণে পরবর্তীতে ডিউটিরত চিকিৎসক শান্তর ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন না। পরবর্তীতে বিকাল তিনটা পাঁচ মিনিটে আবারো নতুন করে টিকিট কেটে তাকে জরুরি বিভাগ থেকে ডেট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
সে আরো জানায়, শান্ত যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার মোবাইল ফোনে কি মদ খেয়েছে কারা কারা পার্টিতে ছিল সেটি আমাকে দেখায়। একটি মজার ব্র্যান্ড আমি চিনতে পেরেছি, অন্যটি কালো একটি বোতলে ছিল সেটি আমি চিনতে পারিনি। শান্ত জানিয়েছিল আমার ওই বন্ধু আমাকে এবং রিপনকে অন্য বোতল থেকে মদ খাওয়ায় কিন্তু সে নিজে খাইনি।
শান্তর চাচা ফারুক শিকদার বলেন, আমি খবর পাই ,আমার ভাতিজা অসুস্থ হয়েছিল। পরে অনেক বমি হয়েছে। এরপর আজ ভোরবেলা মারা গেছে শুনেছি। তারা বন্ধুরা মিলে কি পার্টি করতে গিয়ে কি খেয়েছে সেটা আমি বলতে পারছি না। আমাদের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগি থানায় এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঢাকা মেডিকেলে আমরা একটি টিম পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক রাখা হয়েছে। যে বাসার ঘটনাটি ঘটেছে আমরা সেই বাসার ঠিকানা নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেই বাসায় একটি টিম পাঠানো হবে। বর্তমানে মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত