ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের রূপা নামের এক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই হলের কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। রবিবার দিবাগত রাতে রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। তখন ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে বাধা দেয় হল প্রশাসন। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোস্তফা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনের নির্দেশে তার কতিপয় অনুসারী রূপাকে রুম থেকে নেমে যেতে বলে। এসময় রূপা অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এতে রূপা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন হাসপাতালে যেতে চাইলে তাকে হল প্রশাসন থেকে বাধা দেওয়া হয়।
পরে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় রুপাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিহা মাহুব ঐশী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপর্ণা রায় ও পারজানা পারভীন। অভিযোগের বিষয়ে সামিহা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনি এই বিষয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
’ আরেক অভিযুক্ত বিপর্ণা রায় বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এর সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘রাতে আমি বিষয়টি জানতে পেরে রূপার সঙ্গে কথা বলি। তাকে বারবার মারধর করা হয়েছে কি না বা কারা মারধর করেছে জানতে চাওয়া হয়। সে কিছুই বলেনি তখন।
তাকে আমাদের হলের সিকরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন ডাক্তার নিয়ে এসে তাকে দেখে। মারধর করা হয়েছে বা এরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি তখন। ডাক্তার তার পালস দেখে শরীর দূর্বল পেয়েছে এবং সেটা সারা দিন কিছু না খাওয়ার কারণে। তখন আমরা সবাই মিলে তাকে খাইয়ে দেই। সোমবার সকাল ৬টার পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শুনতে পাই। এ বিষয়ে আমি তদন্ত কমিটি গঠন করবো।’
এদিকে রূপাকে দেখতে ঢাবি মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্য বলেন, ‘রাতে রোকেয়া হলে অপ্রীতিকর ঘটনায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেজন্য তাকে দেখতে গিয়েছি। হল প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্য ঘটনা খুঁজে বের করতে।’
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত