• শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আ.লীগ আবার ফিরে আসবে’ মন্তব্যে শাস্তির মুখে ইউএনও মহালছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ বিশিষ্ট কমিটি গঠিত দূর্গাপুরে বই পড়ে পুরস্কার পেল ১২ শিক্ষার্থী দূর্গাপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতামূলক সভা দুর্নীতির সাম্রাজ্যে বসে প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আবদুর রশিদ! রোয়াংছড়ি থানায় উপস্থিত সুশীল সমাজের সাথে  মতবিনিময়- পুলিশ সুপার মুবাছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও হস্তান্তর সম্পন্ন সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত কাপ্তাইয়ে অর্থনৈতিক শুমারিতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের তথ্য প্রদান লামায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মিলনমেলা  মাইসছড়িতে মায়ের চোঁখের সামনেই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

হাজারীবাগে ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উন্মোচন, জমির লোভে ২০ লাখে খুনি ভাড়া

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১২৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীর হাজারীবাগে ব্যবসায়ী এখলাসকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ফেলে রাখার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই ঘটানো হয় এই হত্যাকাণ্ড। ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই খুনিকে, হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দেয়া হয় ১১ লাখ টাকা।

শনিবার (২২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গেলো ২৮ জুন রাজধানীর রায়ের বাজারে ডেকে নিয়ে গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় জমি ব্যবসায়ী এখলাসকে। হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয় হাজারীবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এখলাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন লেদার মনির। এজন্য ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই কিলার রহমান ও ফয়সালকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করার জন্য দেয়া হয় নগদ ১১ লাখ টাকা।

হারুন অর রশীদ বলেন, ২০ লাখ টাকা মনিরের পিএস ঝন্টু মোল্লা দেন সমন্বয়কারী এসহাককে। পরে এসহাক সেটা বাস্তবায়ন করার কথা। পরবর্তী পর্যায়ে ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকা দিয়ে তারা দুই খুনিকে ভাড়া করেন। আব্দুর রহমানকে দেয়া হয় ৬ লাখ, আর ফয়সালকে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী লেদার মনির এক সময় চামড়া পরিষ্কারের কাজ করলেও কয়েক বছরের মধ্যেই বনে যান হাজার কোটি টাকার মালিক। কেরানীগঞ্জের একটি জমির দ্বৈত মালিকানা থেকেই তার ব্যাবসায়ীক অংশীদার এখলাসের সঙ্গে বিরোধ হয়। আর সেই বিরোধ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা।

ডিএমপির ডিবি প্রধান আরও বলেন,
লেদার মনির এক সময় ঢাকায় ২০ টাকা রোজে চামড়া পরিষ্কার করতেন। কামরাঙ্গীরচরে একটা জমি রয়েছে। এটার মালিকানা কিছুটা রয়েছে মনিরের, আর কিছুটা রয়েছে ভিকটিম এখলাসের। মনির চেয়েছিলেন পুরো জায়গাটাকে একা গ্রাস করতে।

এদিকে রাজধানীর মালিবাগে যুবলীগকর্মী হত্যা মামলায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘যাদের নাম আমরা পেয়েছি, তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করবো।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ