• বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গোয়ালন্দে প্রাথমিক শিক্ষকদের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীঘিনালা উপজেলায় কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মানবতার সেবায় এগিয়ে এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবান দু:স্থ অসহায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মাঝে বিজিবি’র আর্থিক অনুদান রাজস্থলী স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়া লক্ষ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ নতুন ধান তোলা নিয়ে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ পাহাড় জুড়ে সুবাস, কৃষকের মুখে হাসি অজপাড়াগাঁয়ের মেয়ে -খ্যাই উ প্রু মারমা পেলেন জননী  জয়িতা পুরস্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চবি শিবিরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এর আয়োজনে সম্প্রীতির কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে রামগড়ে ছাত্রদলের মানববন্ধন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রদল ও কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে উন্মুক্ত নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

গাড়িতে উঠায়ে ছেলে বলেছে, ‘যেখানে ইচ্ছে চলে যাও, আর আসবা না’

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৬২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

‘ছেলে এবং ছেলের বউ একটি ব্যাগে কাপড় চোপড় ভরে দেয়। এরপর ছেলে ওই ব্যাগসহ একটি গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে বলেছে, চোখ যেখানে যায়, সেখানে চলে যাও। আর আসবা না। আমি মোবাইল নাম্বার চেয়েছি। কিন্তু দেয়নি। গাড়িওয়ালা আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়েছে। আমার বাড়ি ঢাকায়। আমি বাড়িতে আমার ছেলের কাছে ফিরতে চাই।’ বৃদ্ধা মা শাকিলা বেগম এভাবেই বলছিলেন কথা গুলো।

একমাত্র ছেলে ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বৃদ্ধা শাকিলা বেগমকে। শুধু তাই নয়, কাপড়চোপড়সহ বাসে উঠিয়ে মাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন অজানা গন্তব্যে। বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই হয়েছে নিজ বাড়ি ঢাকা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে হিলির রাস্তার পাশে। নিজের এবং সন্তানের নাম বলতে পারলেও, বলতে পারছেন না নিজের পুরো ঠিকানা।

প্রায় ৮০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা গত এক সপ্তাহ ধরে রাতযাপন করছে হিলির একটি সড়কের পাশে। তিনি নিজের নাম বলছেন, শাকিলা এবং একমাত্র সন্তানের নাম জামিল। দীর্ঘদিন আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সন্তানের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তবে সেই সন্তানই তাকে বের করে দিলেন বাড়ি থেকে!

হিলি চারমাথা মোড়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ইব্রাহীম শেখ বলেন, ‘মায়ের বয়সের এই নারী বেশ কয়েকদিন থেকে এখানে অবস্থান করছে। আমরা কিছু দিলে খায়, না দিলে না খেয়েই থাকে। কোনো কথা বার্তা কিছু বলে না। তার সন্তানের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।’

হিলির স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘এই বৃদ্ধা গত ৬-৭ দিন ধরে আমার বাড়ির বারান্দায় অবস্থান করছেন। তিনি তার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন না। শুধু বলেন, তার ছেলে তাকে বের করে দিয়েছেন। আমি মাঝেমধ্যে খাবার কিনে দিচ্ছি। সেটা খেয়ে এখানেই ঘুমাচ্ছেন।’

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ