সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের নানা অভিযোগ, ভয়-ভীতির আশংকা কাটিয় প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল বেশি। তবে সকাল বেলা কেন্দ্রে ভীড় থাকলেও বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই ভোট কেন্দ্র যেন অনেকটা ফাঁকা। কালাপানি নতুন বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে জীবনের প্রথম ভোট দিতে আসা তরুণী তালাতি মালা ত্রিপুরা হাসিমুখে বললেন, "আমার ভোট, আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো"। আমি,আমার পছন্দনীয় প্রার্থীকে জীবনের প্রথম ভোটটা দিয়েছি। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যসহ চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বিনা ভোটে আগেই নির্বাচিত। ফলে এক ওয়ার্ডে ২জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৭টি ওয়ার্ডে ১৬জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী গতকাল ১৭ জুলাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন । ৭টি কেন্দ্রের ৪টি অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ও ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন। এছাড়া এপিবিএন আর্মস পুলিশ ও বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। দুপুরের পর ৬নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকের বাকবিতন্ডা থামাতে গিয়ে প্রার্থী অংশেপ্রু মারমা আহতের ঘটনায় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলেও বিজিবি'র উপস্থিতি টের পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্রের আশেপাশ ত্যাগ করেন। সর্বশেষ বিকেল ৪টায় ৭ কেন্দ্রে গড়ে ৭৮% ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে নির্বাচন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নম্বর যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক মো. আবদুল মতিনসহ ৪,৫,৬ ও ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য ও ওয়ার্ড ৫ ও ৯ এ ২জন সাধারণ সদস্য একক প্রার্থী হওয়ায় ওরা বিনা ভোটে নির্বাচিত।
ফলে সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে ২জনসহ ৭ ওয়ার্ডে ১৬জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। শুরুতে নির্বাচন না জমলেও শেষ সময়ে এসে প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি ও শক্তিপ্রর্দশনের অভিযোগ আনায় পুলিশ ৪ টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ও ৩টি কে ঝুঁকিপুর্ণ ঘোষণা করে পর্যাপ্ত পুলিশ, এপিবিএন আমর্স পুলিশ ও বিজিবিসহ ৪জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।
ভোট গ্রহন শেষে সন্ধ্যা ৭ টায়এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসা শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শওকত আলী চৌধুরী জানান, সকল কেন্দ্রের ফলাফল আসার পর বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত