ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক দম্পতির নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছে ওই দম্পতির মেয়ে। আজ সোমবার দেশটির স্থানীয় সময় ভোরের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ টেলিগ্রামে একটি বার্তায় বলেছেন, এ ঘটনায় একটি মেয়ে আহত হয়েছে। সবচেয়ে কঠিন বিষয় হল তার বাবা-মা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আহত মেয়েটিকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে রয়টার্সের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, সেতুটির ১৯ কিলোমিটার (১২ মাইল) রাস্তা এবং রেল সেতুতে কোনো যানবাহন চলাচল নেই।
ছবিতে দেখা যায়, ব্রিজের ওপর থাকা লোহার ধ্বংসাবশেষ এবং একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখা যায়। ড্যাশ ক্যামের ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার পরপরই চালকেরা দ্রুত গাড়ি থামান। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট জানা যায়নি।
অন্যদিকে ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠী প্রভাবিত রাশিয়ার গ্রে জোন চ্যানেল টেলিগ্রামে জানায়, দেশটির স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোর ৩ টা থেকে সাড়ে ৩ টার মধ্যে দুটি হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার নিয়োগকৃত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, এই সেতুটি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সেতুর ১৪৫ তম পিলারে জরুরি ঘটনা ঘটেছে। তবে এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র নাটালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুর ঘটনা মস্কোর পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক কাজ হতে পারে।
২০১৪ সালে এই সেতুর মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনকে সংযুক্ত করে রাশিয়া। এটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে খুলেছিলেন। তবে এটি আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের জন্য এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
গত বছরের অক্টোবরে সেতুটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া। কয়েক মাস পর ইউক্রেন পরোক্ষভাবে হামলার কথা স্বীকার করে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজে/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত