সংসারের অভাব অনটন দূর করতে ২০১৯ সালে দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা ওবায়দুল। কথা ছিল, ঋণ পরিশোধের পর কিছু টাকা জমিয়ে দেশে আসবেন তিনি। কিন্তু এর আগেই সৌদিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হলো তাঁর।
গতকাল শুক্রবার সৌদির আল-হাসা জেলায় ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে সাত বাংলাদেশিসহ অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ছিলেন ওবায়দুলও।
এ ঘটনা জানার পর নাটোরে ওবায়দুলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মৃত ওবায়দুল ইসলাম নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের দবির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে।
ওবায়দুলের পরিবারের ভাষ্য, দামুদা শহরের আল-মানসুরা শিল্প এলাকায় একটি ফার্নিচার কারখানায় কাজ করতেন ওবায়দুল। সাত ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। গত কয়েকদিন আগেও মায়ের সঙ্গে মোবাইলের কথা হয় ওবায়দুলের। তিনি বলেছিলেন, কিছু টাকা জমাতে পারলেই দেশে ফিরবেন। এরমধ্যে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণও পরিশোধ করে ফেলেছিলেন ওবায়দুল।
ওবায়দুলের বড় ভাই আইচান প্রামানিক বলেন, আমার ভাই সৌদির পবিত্র মাটিতে ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। সেখানেই তাঁর দাফন চাই। সরকার যাতে আমাদের এ ব্যবস্থাটুকু করে দেয়।
প্রতিবেশী জয়নাল আবেদিন বলেন,বিদেশে যাওয়ার পর ওবায়দুল আর দেশে আসেননি। বন্ধুদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। ওবায়দুল ছোট বেলা থেকেই অনেক সৎ ছেলে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, তিনি লোকমুখে এ দুর্ঘটনার খবর শুনেছেন। তবে সরকারিভাবে তার কাছে কোন বার্তা আসেনি।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস