মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশনেত্রী শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা ইবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিস্কৃতরা হলেন-পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা অন্তরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
ইবির প্রক্টর বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট ১৯৮৭ এর পার্ট-০২ এর ধারা ৮ অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে । এটি এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি। আগামী ১৯ জুলাই এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ফুলপরীর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, আমি আগে থেকে ধরেই নিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি ন্যায়বিচার পাবো না। তবে আনুষ্ঠানিক চিঠি হাতে পেয়ে মন্তব্য করব।
এর আগে গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে মৌখিক বক্তব্য দিতে ক্যাম্পাসে আসেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী। কমিটির কাছে তাঁরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সহযোগীদের দ্বারা ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত