শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড‍াশো ডিসেন ওয়াংমো।

বুধবার(১২ জুলাই) সকাল ১০ টায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আসেন তিনি। এ সময় দুই ঘন্টা বার্ন ইনস্টিটিউটে অবস্থান করেন।

পরিদর্শনে এলে ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভ‍্যর্থনা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা রায়হানা আউয়াল ও জাতীয় সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন।

শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর হাসপাতালের ৯ তলায় ঠোঁট কাটা তালু কাটা রোগীদের সেন্টার, হাতজোড়া লাগানো এক রোগীকে দেখতে যান।পরে থ্রিডির মাধ‍্যমে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন।পরিদর্শন শেষে তিনি প্রফেসর লুৎফর কাদের লেলিন হলে চিকিৎসকদের সাথে এক বিনিময় অনুষ্ঠানের যোগদান করেন।

মত বিনিময় অনুষ্ঠানে ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড‍াশো ডিসেন ওয়াংমো বলেন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে আমার খুবই ভালো লাগছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় ভুটান বাংলাদেশের পাশে ছিলো। আমাদের ভুটানের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন বাংলাদেশ তার সেকেন্ড হোম। কোভিড প‍্যানডামিক সিচুয়েশনে বাংলাদেশকে আমরা বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। ওই দিনে বঙ্গবন্ধু বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির উপরে একটি ক্যাম্প করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভুটান এবং বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। আমরা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখেছি। এখানে চিকিৎসকরা খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করে এবং আমরাও তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শতবার্ষিকী উপলক্ষে ভুটানে বঙ্গবন্ধু বার্ন ও প্লাস্টিকের উপর একটি মেডিকেল ক্যাম্প করতে চেয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। পরবর্তীতে করোনার কারণে সেটি আর করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমরা আবারো ভুটানে বঙ্গবন্ধু বার্ন ও প্লাস্টিকের উপর একটি মেডিকেল ক্যাম্প করার আগ্রহ প্রকাশ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভুটানে বার্ন রোগীদের কি চিকিৎসা হয় এবং ওখানে একটি মেডিকেল ক্যাম্প কর। ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে রিকোয়েস্ট করলে তিনি আজ আমাদের হাসপাতালে আসেন। তিনি অনেক খুশি হয়েছেন এবং বলেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসক ও ভুটানের চিকিৎসকদের সাথে সমন্বয় করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।

এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস