সাত মাস বয়সী মোহাম্মদ আলী। মুগদা হাসপাতালে পাঁচ দিন ধরে লড়ছে ডেঙ্গুর সঙ্গে। শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি নেই। উদ্বিগ্ন বাবা-মা। আলীর মতোই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি নবজাতক থেকে ১২ বছর বয়সী অসংখ্য শিশু। মাত্র কয়েক দিনেই শিশু রোগী বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একই বেডে দুজন শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এরই মধ্যেই আজ থেকে খুলেছে স্কুল। তাই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, জ্বর বা ডায়রিয়া হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে। এ নিয়ে পরিচ্ছন্নতাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।
মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, জ্বর, ডায়রিয়া ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মির্জা কামরুল জাহিদ বলেন, যে পরিস্থিতি চলছে সেখানে শিশুর জ্বর নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। জ্বর বা ডায়রিয়া হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে।
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এডিস মশার বংশবিস্তারের শঙ্কায় ৫ নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-
১. খেলার মাঠ ও ভবন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২. মাঠ বা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যে সব ফুলের টব রাখা হয়েছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৪. এডিস মশার প্রজননস্থলে যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
ডেঙ্গুতে এ বছর এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ৬৭ জনের। যাদের মধ্যে শিশু ১৫ জন।
পার্বত্যকনঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত