• বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গোয়ালন্দে প্রাথমিক শিক্ষকদের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীঘিনালা উপজেলায় কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মানবতার সেবায় এগিয়ে এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবান দু:স্থ অসহায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মাঝে বিজিবি’র আর্থিক অনুদান রাজস্থলী স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়া লক্ষ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ নতুন ধান তোলা নিয়ে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ পাহাড় জুড়ে সুবাস, কৃষকের মুখে হাসি অজপাড়াগাঁয়ের মেয়ে -খ্যাই উ প্রু মারমা পেলেন জননী  জয়িতা পুরস্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চবি শিবিরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এর আয়োজনে সম্প্রীতির কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে রামগড়ে ছাত্রদলের মানববন্ধন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রদল ও কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে উন্মুক্ত নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বাসর রাতে বিড়াল মারা বলতে কি বুঝায়? অনেকেই জানেন না

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি: / ২১০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি:

চলুন, আগে বিড়াল মা’রার কাহিনীটা শুনা যাক। একদা বাগদাদের বাদশাহ এর ছিল দুইজন কন্যা। এই দুই রাজকন্যা ছাড়া তার ছিলনা কোন রাজপুত্র। রাজকন্যা দুজন ছিল বাদশা এর অনেক অনেক আদরের।

সবসময় দুই রাজ কন্যার জন্যে দশ পনেরো জন দাসী প্রস্তুত থাকতো। কখন কোনো রাজকন্যার কি দরকার হবে আর তারা হুকুম পালন করবে। দুই রাজকন্যারই একটা করে বিড়াল ছিলো।

বিড়াল দুটো ছিলো তাদের সবসময় এর সাথী। তারা খেতে বসলে এমনকি ঘুমাতে গেলেও ঐ বিড়াল দুটো সাথে সাথে থাকত। তো দেখতে দেখতে দুই রাজকন্যাই একসময় বড় হয়ে গেলো।

তারা বিবাহ উপযুগি হয়ে গেলো। তারপর বাদশাহ এর চিন্তা বাড়তে লাগল, কারন এই দুই রাজকন্যার জামাইদের উপরেই তার এই বিশাল রাজ্যের দায়িত্ত দিয়ে যেতে হবে।সুতারাং এমন যোগ্য দুজন ছেলে খুজে বের করতে হবে। যারা এই গুরু দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করতে পারবে।

সারা রাজ্যে অনেক খোজাখুজি করে এমন দুইভাই পাওয়া গেলো যাদের কাছে রাজকন্যাদের বিয়ে দেয়া যায় বলে বাদশাহ এর মনে হল। তারপর অনেক ধু’মধাম করে বিয়ে হল দুই রাজকন্যার একসাথে।

অতঃপর বাদশাহ দুই মেয়ে জামাইকে সমান ভাবে রাজ্যের দায়িত্য ভাগ করে দিলেন। এরপর দুই ভাই রাজ্য চালনা নিয়ে অনেক ব্যাস্ত হয়ে পরলো। দুইজনের অনেক দিন দেখা সাক্ষাত নেই।

হঠাত করেই রাজ্যের একটা বড় অনুষ্ঠানে দুই ভাই এর দেখা হয়ে গেলো। তারপর দুইজনই আবেগে আপ্লুত হয়ে পরলো এতদিন পরে ভাইএর সাথে দেখা এই জন্যে।তারপর অনেক কথায় কথায় ছোট ভাই জিজ্ঞাসা করলো তাদের বৌ মানে রাজকন্যাদের কথা। তখন বড় ভাই বলল হুম, বড় রাজকন্যা তাকে অনেক সমীহ করে চলে।

তার কোন কাজই করা লাগে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। এইসব শুনে ছোটভাই বলল ছোট রাজকন্যা তার কোন যত্নই করে না। সবসময় রাগা রাগি করে এমনকি মাঝে মাঝে গায়েও হাত তুলে।

তখন বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করল কিভাবে রাজকন্যাকে বশ করল? তখন বড় ভাই বলল, রাজকন্যার বিড়ালের কথা। ছোট ভাই বলল হ্যাঁ ওই বিড়ালকে তো আমার চাইতেও বেশি যত্নে রাখে।বড়ভাই বলল, হ্যাঁ, প্রথম দিন বাসর রাতে ঘরে ঢুকেই আমি একটা ত’রবারি দিয়ে ওই বিড়ালের ওপরে দিলাম এক কো’প। ব্যাস একবারে দুইভাগ।

এই ঘটনায় বড় রাজকন্যা ভাবলো আমি মনেহয় অনেক বড় কোন বীর, এরপর থেকেই সে আমাকে অনেক সমীহ করে চলে। তো এই কথা শুনে ছোটভাই মনে মনে ভাবলো ঠিক আছে আজকে বাড়ী ফিরেই বিড়ালের জীবন না’শ করা লাগবে।

তারপরে আবার অনেকদিন পরে দুই ভাই এর দেখা। এবার ছোট ভাইএর শরীরে অনেক কা’টা দাগ’। বড়ভাই জিজ্ঞাসা করলো কি খবর কোন যু’দ্ধে আহ’ত হয়েছিলে নাকি?ছোটভাই বলল, না ভাই তোমার ঘট’না শুনে আমি ওইদিন বাসায় গিয়ে তর’বারি নিয়ে এক কো’পে বিড়াল’টাকে দুইভাগ করে দিলাম।

কিন্তু আমার বেলায় ঘটনা উলটো হল। আমাকে এর শা’স্তি সরূ’প একমাস কা’রাব’ন্দি আর অ’ত্যা’চার ভোগ করা লাগলো। তখন বড়ভাই বলল, বি’ড়াল বাসর রা’তেই মারতে হয়, পরে মার’লে কোন লাভ নাই।

প্রকৃতপক্ষে বাসর রাতে বিড়াল মে’রে কিছু হয়না। এগুলো শুধুই গল্প কথা…. এর সাথে ইসলামের দূরতমও কোন সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অহেতুক কু’সংস্কার থেকে আমাদের বেঁচে থাকা উচিৎ। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমীন!

পার্বত্যকণ্ঠনিউজ/রনি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ