মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার
ডেঙ্গুর লক্ষণ না থাকায় আক্রান্ত অনেকের চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হচ্ছে। এতে হাসপাতালে নিলেও, চিকিৎসার জন্য যে সময় প্রয়োজন, তা মিলছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ বছর ৭৮ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ার পেছনে দেরিতে চিকিৎসা শুরু আর একাধিক বার আক্রান্ত হওয়াকেই বড় কারণ বলছেন চিকিৎসকেরা।
রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল এখন যেন ডেঙ্গুর জন্য বিশেষায়িত। ভর্তি রোগীদের প্রায় অর্ধেকই ডেঙ্গু আক্রান্ত। দেশের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন এখানে। শুধু এই হাসপাতালেই চলতি বছর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২০ জন।
মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত অনেকের জ্বর থাকছে না। কারও লক্ষণ শুধু পেটে ব্যথা, বমি কিংবা ডায়রিয়া। রক্তচাপও কমে যায় দ্রুত। লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায়, বাড়ছে জটিলতা। আর মারা যাওয়া রোগীদের বড় অংশ একাধিকবার আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুতে গেল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতি বছরে মারা গেছেন ৬৪ জন। ৭৮ শতাংশ মারা যান হাসপাতালে নেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। জটিলতা এড়াতে সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগের।
চট্টগ্রাম মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ দিদারুল মুনির বলেন, সচেতনতার অভাবে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তাছাড়া নিজেদের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করতে না পারায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এজন্য শিশুদের বিশেষ যত্নে নেওয়া।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শেষ মুহূর্তে আনায় বেশিরভাগেরই প্রাণ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যেকোনো লক্ষণ দেখলেই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নেয়া উচিত।
দেশে এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষের। এর মধ্যে জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শানক্তের সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। এদের ৬২ শতাংশ নারী আর অর্ধেকের বেশির বয়স ২০ থেকে ৫০ বছর।
পার্বত্যকণ্ঠ নিউজ/এম এস