স্বপ্নভঙ্গ জামাল ভুঁইয়াদের। চোখে চোখ রেখে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের ইনজুরি টাইমের গোলে কুয়েতের কাছে হার মানতে হলো। সেই সঙ্গে ১৮ বছর বাদে ফের সাফ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। ৩৭ বছর আগের হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ অধরাই থেকে গেল।
শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে শক্তিশালী কুয়েতকে রুখে দিয়েছিল হ্যাভিয়ের কাবরেরার ছেলেরা। প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের শেখ মোরসালিন। রাকিবের বাড়ানো নিচু ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়েছিলেন তরুণ স্ট্রাইকার। কিন্তু গোলকিপারের গায়ে মেরে প্রথম সুযোগটি নষ্ট করেছেন তিনি। ফিরতি বল দ্বিতীয় দফায় কাছে পেলেও তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারেননি। সাত মিনিটের মাথায় কুয়েতও গোলের সহজ সুযোগ মিস করে। কর্নার থেকে পাওয়া বল বাংলাদেশের জালে প্রায় গলিয়ে দিয়েছিলেন কুয়েতের এক ফুটবলার। কিন্তু ইসা ফয়সাল গোললাইন থেকে বল ফেরত পাঠিয়ে দলের পতন রোধ করেন। ২৯ মিনিটে কুয়েতের আল রশিদির শট বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো অনেকটা লাফিয়ে প্রতিহত করেন। ৩০ মিনিটের মাথায় মোরসালিনের বাড়ানো বল গোলে ঠেলতে পারেননি রাকিব। ৪০ মিনিটে আল রাশিদির শট ফের ঝাঁপিয়ে বাঁচান বাংলাদেশের গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপায় কুয়েত। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন পর্তুগিজ কোচ রুই ফার্নান্দো বেন্তোর ছেলেরা। কিন্তু বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো দুর্ভেদ্য প্রহরী হয়ে দাঁড়ান। আল রাশিদি, আল ব্লাউশির সামনে চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধেও কুয়েতকে রুখে দিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিলেন হ্যাভিয়ের কাবরেরার ছেলেরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অতিরিক্তি সময়ের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় বেন্তোর ছেলেরা। ১০৫ মিনিটে আল ব্লাউসির গড়ানো শট বাংলাদেশের সেন্টার-ব্যাক তপু বর্মণের দুই পায়ের ফাঁক গলে জালে জড়ায়। ওই গোলেই সাফের ফাইনালে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে কুয়েত।
পার্বত্য কন্ঠ নিউজ/রনি
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত