সাইফুর রহমান পারভেজ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবকেরা ঈদের ছুটি কাটাচ্ছে গাছ রোপন করে। ঈদের পরদিন থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, মসজিদ, মাদ্রাসা,রাস্তা ঘাটে, বিভিন্ন ফলাদি ও ঔষধি গাছ বোপন করছে তারা।
গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের অনেক স্বেচ্ছাসেবক দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীসহ নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটান, ঈদের ছুটিতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন নিজ এলাকায় নিজ জন্মস্থানে।
গাছ রোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবদুল জব্বার(সাবেক চেয়ারম্যান-রাজবাড়ী জেলা পরিষদ), ফকির আবদুল মান্নান, আশরাফুল আলম, ফজলুল হক, জহিরুল হক লাভলু, মাহমুদ হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন রনি, শোয়েব হাসান, উজ্জল মাহমুদ প্রিন্স, ইমদাদুল হক মিলন, আমিনুল ইসলাম পিয়াল, শফিক মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম রুবেল, তাহারিন, নাসরিন আক্তার ইতি প্রমুখ।
গাছ রোপনকালে গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর একনিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক ইঞ্জিনিয়ার ফকির আব্দুল মান্নান বলেন- “গাছ লাগান, গাছ বাঁচান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের এই কর্মসূচি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশিরভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপকহারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শুধু তাই নয়, খাদ্য সমস্যাও একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগের দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিন ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই পানিতে প্লাবিত হয়।
প্রসঙ্গক্রমে ফজলুল হক বলেন-সবুজ-শ্যামল এ দেশটা আগের মতো আর নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তার বেশিরভাগেই ছিল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে। গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংসের কারণে পাখপাখালিও আগের মতো আর তেমন দেখা যায় না। গাছপালা কাটার ফলে পাখিদের আশ্রয়স্থলও কমে যাচ্ছে। অতিথি পাখির আগমনও কমে গেছে। প্রতিনিয়তই এভাবে গাছপালা কেটে উজাড় করতে থাকলে পাখিদের বংশ বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বেপরোয়াভাবে কেউ গাছ কাটলে আগের মতো তেমন কোনো প্রতিবাদও হয় না এখন। ফলে নির্বিচার বৃক্ষনিধনের মিছিলে নেমে পড়ছে ভূমিখেকো চক্র। তাই পরিবেশগত সমস্যা দৈনন্দিন বেড়েই চলেছে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’– এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান। ফসলি জমি রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উক্ত কর্মসুচিতে সহস্রাধিক গাছ রোপনের প্রতিশ্রুতি দেন গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবকেরা।
পার্বত্য কন্ঠ নিউজ/রনি