• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ২০ শ্রমিককে অপহরণ বান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবাসহ দুজনের যাবজ্জীবন বান্দরবানে সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব – পলাশ ধর লামায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন রামগড়ে যুব রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয় সভা অনু্ষ্ঠিত  রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১ বান্দরবানের সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে কুকি চিনের তান্ডবে ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা মানিকছড়িতে কার্প জাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কাপ্তাইয়ে ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট দ্বিতীয় পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সন্মানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের চিরবিদায় রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে  ভারতীয় সিগারেটের ফিল্টার জব্দ

রাজবাড়ীতে অর্থের অভাবে বন্ধ হতে চলেছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাত্তুন নেছা মুজিব অটিজম প্রতিবন্ধী স্কুল

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: / ১৪৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

সাইফুর রহমান পারভেজ, রাজবাড়ীঃ 

রাজবাড়ীর জেলার কালুখালি উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে, ২০১৯ সালে ৩২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাত্তুন নেছা মুজিব অটিজম প্রতিবন্ধী স্কুল। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন কালুখালি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার। এই স্কুলের বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই শারীরিক ও মানুষিক প্রতিবন্ধী,বাক প্রতিবন্ধী, শ্রাবন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। একটি চারচালা টিনের ঘরের মধ্যে পাঠদানের জন্য একটিই ক্লাস রুম আছে। ২৩ জন ছাত্র ও ২৫জন ছাত্রী সহ মোট ৪৮ জন ছাত্রছাত্রী দিয়ে চলছে স্কুলটি। কিন্তু এই প্রতিবন্ধী স্কুলের ৪জন শিক্ষিকারা ও ১ জন অফিস সহকারী সহ মোট ৫ জন বেতন ভাতা সহ নানা ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৫ বছর যাবত। এমন অবস্থায় স্কুল ছেড়ে দিতে চাইছেন শিক্ষিকারা। ফলে বন্ধ হতে বসেছে স্কুলটি। অনিশ্চিত ভবিষ্যতে দিকে ৪৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জীবন। হতাশ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।

এছাড়াও স্কুলের নানাবিধ সমস্যা তো রয়েছেই,রুম/শ্রেনী কক্ষের সমস্যা। কারন ৪৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য একটি রুম দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো খুবই কঠিন। ক্লাস রুমের মধ্যে নেই ক্লাস নেওয়ার পরিবেশ। ক্লাস রুমের দেওয়ালে বিভিন্ন ধরনের আলপনা আকাঁ থাকা দরকার। যেমন অ,আ,ক,খ অক্ষর গুলো লেখা থাকা। জাতীয় ফলের নাম,জাতীয় পতাকার ছবি,বিভিন্ন শিক্ষামুলক ছবি দেওয়ালে আকাঁ থাকা দরকার। এছাড়াও ক্লাস রুমে নেই কোন সিলিং এর ব্যবস্থা,যার অভাবে বাচ্চারা ঠান্ডা/ গরমে জ্বর সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়তই। প্রতিবন্দী বাচ্চাদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজন কয়েটি স্কুল ভ্যান। করণ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিবন্ধী বাচ্চারা এই স্কুলে আছে, তাদের স্কুলে পৌছাতে আর্থিক সংকট থাকায় ব্যাপক পরিমান কষ্ট হচ্ছে অভিভাবকদের।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিরা আক্তার জানান,
টাকার অভাবে স্কুলটিতে প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সপ্তাহে ৩ দিন চলছে ক্লাস। টাকার ব্যবস্থা হলে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন চলবে স্কুলটি। এছাড়া টাকা অভাবে মানবেতর জীবনযাপন শুধু করছে স্কুলের শিক্ষিকারা। এখনই সমস্যা সমাধান করা দরকার। তা না হলে যেকোন সময় বন্ধ হতে পারে এই স্কুলটি।

অন্য দিকে কালুখালি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মোঃ সজিব জানালেন ভিন্ন কথা। খুব তারাতাড়ি সমাধান করা হয়ে এই স্কুলটির যাবতীয় সমস্যা। তিনি বলেন এই স্কুলের জায়গাটি মামালা থাকায় সরকারী সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষিকা ও ছাত্র- ছাত্রীরা। আমার ব্যক্তি উদ্দেগে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি। শিক্ষকদের ব্যবস্থা দাও তাড়াতাড়ি হবে না।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ