অবশেষে একাধিক জাতীয় দৈনিক এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের পর দৌলতদিয়ার শীর্ষ মাদক কারবারি,একাধিক মাদক মামলার আসমাী, মিতা বেগম গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের হাতে আটক।
শনিবার (১৭ই জুন) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাধ্যমে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন,
গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতেই দৌলতদিয়ার পুর্ব পাড়ার রুপা বাড়ীওয়ালীর বাড়ীর, একটি ঘরে মাদক রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের একটি দল। পরে ঐ বাড়ী তল্লাশি করে একটিঘর থেকে ৭৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। যার বাজার মুল্য আনুমানি ৫০ হাজার টাকারও বেশি। পরে বাড়ীওয়ালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শ্বীকার করে শীর্ষ মাদক কারবারি মিতা বেগম এই ঘরটি ভড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক নানা অপকরণ মজুত রাখে। এসময় তার কথার উপর ভিত্তিতে মিতাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে মিতার বিরুদ্ধে একাধিক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের পর নড়েচরে বসে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা। বেশকিছু দিন ধরে তাকে গ্রেফতার করার করার চেষ্টা অব্যহত রেখছিলো পুলিশ। কিন্তু মিতা প্রচন্ড রকমের ধীত/চালাক হওয়ায় তাকে আটক করা গোয়ালন্দ ঘাট পুলিশের এত সহজ ছিলো না। অবশেষ শুক্রবার রাতে দৌলতদিয়ার পুর্ব পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার। রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার জনাব এমএম শাকিল্লুজ্জামান, মাদকের ব্যপারে অত্যন্ত কঠোর। তারই ধারাবাহিকতায় মাদক ব্যবসায়ী সে যেই হোক তাকে কোন প্রকার ছাড় দেবে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। আমি যোগদান করার পর অত্র থানা এলাকায় ব্যপক মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। মিতার ও মামুনের বিরুদ্ধেও মাদকের মামলা নিয়েছি। মাদক সহ মিতা ও মামুনকে বিগত সময়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে কয়েকবার। তাদের মাদকসহ গ্রেফতার করতে কাজ করছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি চৌকস টিমের সদস্যরা।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস