রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াতে আলোচিত গরুর নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৮ শত ৪২ টাকা মহামান্য কোর্টের নির্দেশ ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ জন গরু ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে দিয়েছে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ। এসময় কাংখিত খুয়া যাওয়া টাকা হাতে পেয়ে খুঁশির জোয়ার বয়তে থাকে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এতে তারা বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশ নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ আশিক সাঈদকে।
তবে গরু ব্যবসায়ীদের দাবী ডাকাতি কৃত টাকার পরিমান ছিলো ৬০ লাখ ১৬ হাজার ২শত কয়েক টাকা। কিন্তু ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৮ শত ৪২ টাকা। তাই চাহিদার তুলনায় উদ্ধার কৃত টাকার পরিমান কম হওয়া মহামান্য কোর্ট নৌপুলিশকে নির্দেশ দেয় শতকরা ৫৭ ভাগ হারে প্রকৃত মালিকে খুয়া যাওয়া টাকা ফেরত দিতে। সেই সাথে বাকি টাকা ও পালাতক গরু আসামীদের গ্রেফতার করে অবশিষ্ট টাকা ব্যবসায়ীদের মাঝে পুনরায় বন্টন করার নির্দেশ ও দেয় কোর্ট।
সোমবার ১২ই জুন রাত ৯টার দিকে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেএম সিরাজুল কবির নেতৃত্বে এ ক্ষতি গ্রস্ত সকল গরু ব্যবসায়ীকে টাকা প্রদান করা হয়।
এর আগে গত ২রা মে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরীঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অনন্ত ২০ জন সশস্ত্র ডাকাত প্রকাশে দিবালোকে গরুর নৌকায় ডাকাতির করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে ৩৪ লাখ ৬১হাজার ৮শত ৪২টাকা সহ বাংলাদেশ নৌপুলিশের একটি চৌকস টিম ৯ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি পাইপ গান, ৬টি ছেনি, ১টি কাঁটার মেশিন,কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে নিহত গরু ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র পালকে
২লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়ম অনুসারে তার পাওয়ার কথা ছিলো ২ লাখ ১৫ হাজার কথা। এই টাকা নৌপুলিশ ফাড়িতে এসে গ্রহন করে নিহতের স্ত্রী চন্চলা রানী পাল ও তার দেবর অনুকুল পাল টাকাটা গ্রহন করেন।
এ সম্পর্কে গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, ডাকাতি কৃত টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মা হারা গরু ব্যবসায়ীরা। পরে বাংলাদেশের নৌপুলিশে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা।
এবিষয়ে মামলার বাদী কাজি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে ডাকাতির টাকা গরু ব্যবসায়ী ফেরত তা কল্পনাও করতে পারেনি। এবিষয়ে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেএম সিরাজুল কবির বলেন, বিগত সময়ে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
পার্বত্যকণ্ঠ নিউজ ইমএস