প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৪, ২০২৩, ১০:০৮ পি.এম
মহেশখালীতে আদালতের রায়ে ৩৪ বছর পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি উদ্ধার
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ শে মে) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের ৫৬ নং আদেশের প্রেক্ষিতে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী ভূমি) এএফএম শামীম নেতৃত্বে মহেশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আদালতের মামলার রায়ে ১ একর ৭৮ শতক জমি বুঝে পেয়ে বিজ্ঞ আদালত ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক সবুজ দে গং।
শশাঙ্ক দে পুত্র সবুজ কান্তি দে জানান, দীর্ঘদিন ৩৪ বছর মামলার রায়ে, অন্যত্র চলে যেতে বলাতে তারা উল্টো জমি ছাড়তে অপরাগতা প্রকাশ করে উল্টো দুর্ব্যহার ও হাকাবকা শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সবুজ কান্তি দে। এরই মধ্যে একটি নিঃস্বত্ত্ববান ও ফেরেবি দলিল সৃজন করে উল্টো জমির মালিক সবুজ কান্তি দে গংকে মিথ্যা অভিযোগে বিজ্ঞ কক্সবাজার আদালতে মামলাটি খারিজ হয়।
পরবর্তী কৃষন চন্দ্র দে গং জমি ছেড়ে দিতে অপরাগতা জানালে সবুজ কান্তি দে নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে উচ্ছেদ মামলা (নং ১৩/১৭) দায়ের করেন। কক্সবাজার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মান্নান চলতি বছরের ১৫ ই মে এ উচ্ছেদ মামলায় সবুজ কান্তি দে এর পক্ষে রায় দেন। রায়ে অবৈধ দখলদার কৃষন চন্দ্র দে'কে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে মোখা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ বুধবার অবশেষে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক সবুজ কান্তি দে।
অভিযানে আরো অংশ নেন জেলা জজ কোটদের কমিশনার, মহেশখালী থানার এসআই শাহারিয়া ও মনিষ'সহ জেলা পুলিশের প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ দখলদার কৃষন চন্দ্র দে গং এর বসতঘর'সহ অন্যান্য স্থাপনা স্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিক সবুজ কান্তি দে'কে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
অভিযান চলাকালে এলাকার শত শত উৎসুক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এ অভিযান ভূমিগ্রাসী চক্র ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে একটি শতর্কবার্তা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। দখলদাররা প্রভাবশালী হলেও আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার অন্যন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এ অভিযান। এ জন্য এলাকাবাসীও বিজ্ঞ আদালত, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত