খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার রামগড় ও সোনাইপুল বাজারে দিন দিন চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনদুপুরে একের পর এক চুরীর ফলে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বেশ কয়েকটি আলোচিত চুরি ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা না পরার কারনে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। চুরির পর থানা পুলিশের পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের সভা-সেমিনার ছাড়া আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কোন অগ্রগতি না পাওয়ায় দিনদিন শংকা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সোনাইপুল বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভাপতি মমতা আফরিন, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেল, পৌর মেয়র ও অফিসার ইনচার্জ রামগড় থানার সাথে স্বাক্ষাৎ করে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য এক ব্যবসায়ী থানায় মামলা করেছেন। জানা গেছে, গত ১২ মে শুক্রবার দুপুরে সোনাইপুল বাজারের মজুমদার মার্কেটে মেসার্স শাহজাহান স্টোরে দুর্ধর্ষ চুরীর ঘটনা ঘটে এতে মো: শাহজাহানের দোকানের তালা কেটে ক্যাস ভেঙ্গে অন্তত ৮ লাখ টাকা নিয়ে যায় দুর্ভিত্তরা। এর আগে ৩০ এপ্রিল একই বাজারে কাজী মার্কেটে সাথী মেডিকেলে একইভাবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার আগে ২রা এপ্রিল রামগড় বাজারে শফি কোম্পানীর মার্কেটে মো: রফিক এর রিয়া গার্মেন্টস এন্ড শাড়ি ঘরের আড়াই লাখ টাকা ও ১৩ মার্চ রামগড় মধ্য বাজারে কালার্স ফ্যাশন শাড়ি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা তালা ভেঙে প্রায় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। তারও আগে, ২১ ফেব্রুয়ারী বিজয় ভাস্কর্য এলাকা থেকে ১টি মোটরসাইকেল চুরি হয়। গত ৬ জুন দিবাগত রাতে রামগড় বাস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের ৫০গজ দুরে কুইন টেলিকমে চুরির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ আজ ১৬ মে মঙ্গলবার মহামুনি নিজ বাড়ির সামনে থেকে আলী আক্কাস নামে একব্যক্তির একটি মোটরসাইকেল চিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ী মো: শাহজাহান জানান, বিকেলে দোকানে এসে দেখি তালা কাটা ও ক্যাশবক্স ভেঙ্গে তার প্রায় ৮ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। তবে চোরদের আগমন ও চুরির দৃশ্য সিসি টিভিতে দেখা যাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে রামগড় থানায় মামলা করেছেন । মামলা নং-০৪, তাং-১৫/০৫/২০২৩খ্রি:।
রামগড় বাজারের ব্যবসায়ী লিটন জানান, তার দোকানে প্রায় নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ২০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। দোকান থেকে দামি দামি বেশ কিছু ডিবাইস নিয়ে গেছে চোরচক্র। সকালে দোকানের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে পুলিশকে অভিহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আজ অবধি পুলিশ চোরাইকৃত মালামাল ও চোরদের আটক করতে পারেনি।
এর কিছুদিন পর সফি কোম্পানি মার্কেটের সুইটি জুয়েলার্সের দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। চোরচক্র দিনে দুপুরে তালা ভেঙে ১০-১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসি ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ড নিয়ে গেলেও আজও ডাকাতদল ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
সোনাইপুল বাজার কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ জনান, বাজার কমিটি থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও দিন দুপুরে চুরি রোধ করা যাচ্ছেনা। কয়েকদিন পরপর কোথাও না কোথায় চুরি সংগঠিত হচ্ছে। চুরি রোধে প্রশাসন আরো আন্তরিত না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেদিতে বাধ্য হবেন। তিনি অভিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেছেন।
রামগড় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, সম্প্রতি সোনাইপুল বাজারে চুরীর ঘটনার মামলা হয়েছে। চোর সনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ অধিকতর গুরুত্বের সাথে কাজ করছে, আশা করছি শিগ্রই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত