খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার ভৈরফা নয়াপাড়া এলাকার সুধীর মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিট ও বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
জানাযায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন একটি সড়ক নির্মাণের জন্য এসব কংক্রিট ও বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে এসব কংক্রিট ও বালু স্তূপ করে রাখায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক খেলাধুলা সহ স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ শিক্ষার্থীদের।
জানাযায়, ১৯৬১ সালে স্থাপিত হয় সুধীর মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বিদ্যালয়টির মাঠ জুড়ে কংক্রিট ও বালুর স্তুপ রয়েছে। বিদ্যালয় থেকে দুইশত গজ আগে একটি সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, নির্মাণাধীন সড়কের ইট তুলে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে কংক্রিট ভেঙে স্তুপ করে রেখেছে ঠিকাদার মোহাম্মদ হায়দার। পরবর্তীতে বালু এনে কংক্রিট সহ পাশাপাশি স্তুপ করে রেখেছেন তিনি। যেকারণে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা সহ স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
এসময় বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রাপ্তি রোয়াজা, কৃষ্টিনা ত্রিপুরা ও বিন্দু ত্রিপুরা জানায়, দীর্ঘ দু'মাস ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে বালু ও কংক্রিট স্তুপ করে রাখায় তাঁরা খেলাধুলা ও স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে বালু ও কংক্রিট স্তুপ করে রেখেছে ঠিকাদার। প্রতিবাদ করলে তাঁদের সন্তানদের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে, সেই ভয়ে চুপ করে আছেন তাঁরা।
এসময় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাণীভুষণ ত্রিপুরাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শিউলী ত্রিপুরা বলেন, পাকা রাস্তা পাওয়ার স্বার্থে মাঠে সড়ক নির্মাণের মালামাল রাখতে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের মাঠ খেলা ও স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী হতে অনেকদিন সময় লাগবে। হিরোশিমার মতো মাঠে সহজে ঘাস উঠবেনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মোহাম্মদ হায়দার বলেন, আমি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই মাঠে বালু ও কংক্রিট রেখেছি। কয়েকদিনের মধ্যে মাঠ থেকে আমার মালামাল সরিয়ে নেব।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত