ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ইব্রাহীমপুরে প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেমিকের পিতা কে ছুরিকাঘাত করেছে প্রেমিকার ভাই,এ ঘটনায় নবীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগরের আবুল হোসেনের মেয়ে ভাদুরঘর মাদ্রাসা পড়ুয়া বুশরার সাথে তারই ফুফাতো ভাই ইব্রাহিমপুর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে,এতে করে বিগত কিছু দিন পূর্বে একে অপরের সাথে পালিয়ে যায়।ছেলে -মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় উভয় পক্ষের অভিবাবকগণ অনেক খুঁজাখুঁজি করে পেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এমনকি এ বিষয়ে নবীনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করে মেয়ে পক্ষ। বিষয়টি এক সপ্তাহ না গড়াতেই পূনরায় আবুল হোসেনের মেয়ে বুশরা তার মাদ্রাসা ভাদুঘর থেকে পালিয়ে যায়।এতে তার পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় আবুল হোসেন,লাকি,শামসুন্নাহার, ওবায়দুল সহ আরো ৪/৫ জন বুশরা কে খুঁজতে কামাল মিয়ার বাড়িতে যায়।ঐখানে তাকে না পেয়ে বুশরার ভাই ওবায়দুল তার হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে কামাল মিয়ার বুকের বামপাশে ফুসফুসে বরাবর ২ টি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এতে কামাল মিয়ার অবস্থা মুমূর্ষু হলে নবীনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়,ঐখানের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কুমিল্লা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার্ড করে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় কুমিল্লা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে কামাল মিয়ার মেয়ে রেখা জানান,আমার মামতো বোনেকে তাদের বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে কোন কিছু না জিজ্ঞাসা করে আমার মামতো ভাই ওবায়দুল ছুড়ি দিয়ে আমার আব্বাকে পরপর ২ টি আঘাত করে, পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমার মামা আবুল হোসেন,লাকি,শামসুন্নাহার কে আটক করে নবীনগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
কামাল মিয়ার স্ত্রী জানান,আমার ভাইয়ের ছেলে কোন কিছু না জিজ্ঞাসা করে আমার স্বামীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়,থানায় অভিযোগ করেছি।সর্ব সম্মিতিক্রমে বিষয়টি সামাজিক ভাবে বসে আপোষ মিমাংসা করবে মর্মে আসামিদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। আমার স্বামী সুস্থ হয়ে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে বসব।
বুশরার পিতা আবুল হোসেন জানান, আমার বোনের ছেলে আমার মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে আসলে আমরা পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করি,পূনরায় ভাদুঘর মাদ্রাসা থেকে ভাগিয়ে নিয়ে আসে।এতে আমার ছেলে রেগে বাড়ি থেকে ইব্রাহিমপুর যায়।আমি চিন্তা করলাম আমার ছেলে যদি কোন ধরনের মারামারি করে তাই আমি পেছনে পেছনে আসি।এসে তাদের বাড়িতে চিল্লাচিল্লি শুনে ঢুকতেই আমাকে মারধর শুরু করে। আমার ছেলে এমন করবে আমি আমি বুজতে পারিনি।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান,প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারি হলে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হলে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আসামিদের সামাজিক ভাবে বসে আপোষ মিমাংসা করবে মর্মে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে,আপোষ মিমাংসা না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এম এস