৭ ই মে রবিবার রাত ৯ টার দিকে মহেশখালী জেটি ঘাট থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে, বাঁকখালী নদীর মুখামুখি অবস্থায় বোট থেকে উর্মি ফারজানা তুলি নামের মহিলা কৌশলে হঠাৎই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মৃত্যুর চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকার
রাহমত আলী’র পুত্র দেলোয়ার হোসেন সঙ্গে তুলি’র ১১ মাস আগে বিয়ে হয়, তুলি হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা এলাকার মোস্তাক আহমেদ মেয়ের সংসারে পারিবারিক অশান্তি কারণে ঘটিভাঙ্গা এলাকার স্থানীয় মেম্বারের বিচারাধীন রয়েছে, পরও পারিবারিক অশান্তি কথা উল্লেখ করে তাঁর ছোট ভাই জাহিদ’কে আজ রাত ৮ টা ১২ মিনিটের সময় নিজে চিরকুট লিখে পাঠান আমার মৃত্যুর জন্য শুধু স্বামী, আর আমার জামাই মা ও বোন জামাই এদের কারনে পৃথিবীকে বিদায় জানালাম বলে নদীতে ঝাপ দেয়, মহিলাকে মাঝ নদীতে ভেসে যেতে দেখে বোটের মালিক জলে ঝাঁপ দেন প্রচেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যেই নদী থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ও সুষ্ঠ পথে রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেটিঘাট এলাকায়।
পরে তার পরিচয় সনাক্ত করার জন্য হাত ব্যাগ চেক করলে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত (৮নং ওয়ার্ডের) গ্রাম পুলিশ জাকের হোসেন রাজুর ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে তিনি এ তথ্য জানান।
মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত তাজ উদ্দিন দেশবাংলা’কে বলেন, অভিমানে আত্মঘাতী মৃত্যু বরণের চেষ্টা, চিরকুটের সত্যতা ও তুলির পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজে/এমএস