বান্দরবানের লামায় প্রতিবেশীর গাছ থেকে আম পাড়ার মত তুচ্ছ ঘটনায় মোঃ জীবন (১২) নামে এক শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১লা মে ২০২৩ইং) সকাল সাড়ে ১০টায় লামা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলেরতুয়া মুসলিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
মোঃ জীবন লামা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলেরতুয়া মুসলিম পাড়ার মোঃ বাবুল এর ছেলে। এদিকে দুইদিন চিকিৎসা শেষে আজ বুধবার শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করলে তার পিতা মোঃ বাবুল বিচার চেয়ে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
লামা থানার অভিযোগ ও শিশুটির পিতা মোঃ বাবুল জানান, গত ১লা মে সকাল সাড়ে ১০টায় আমার ছেলেকে বাড়িতে একা রাখে আমি এবং আমার স্ত্রী ব্যক্তিগত কাজে লামা বাজার যাই। এসময় আমার ছেলে বিবাদী মোঃ মাসদ (৩০) এর আম গাছ থেকে আম পাড়ে। তাহার সূত্র ধরে ১লা মে দুপুর সাড়ে ১২টায় লামা থানাধীন ২নং লামা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ শিলেরতুয়া মুসলিম পাড়া আামার বসত বাড়িতে মাসদ আমার ছেলে মোঃ জীবন কে অন্যায়ভাবে তামাক পাতার গাছ দিয়া এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে তার মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে এবং আমার ছেলের নাক হইতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমার ছেলের শোর-চিৎকার শুনিয়া আমার ভাই সেনাজ উদ্দিন (৫০) সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিবাদীর নিকট হতে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে। ঐ সময় আমি এবং আমার স্ত্রী কাজ শেষ করে লামা বাজার হইতে বাড়িতে যাওয়ার পথে বিবাদীর বাড়ির রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছিলে আমার বড় ভাই সেনাজ উদ্দিন (৫০) আমার ছেলেকে কোলে করিয়া নিয়ে আসিতে দেখিয়া দাঁড়াই। আমার ছেলে মোঃ জীবন কান্না করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আমার ভাইসহ উপস্থিত লোকজন ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
পরবর্তীতে আমি আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। বিবাদী আমার শিশু সন্তানকে নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে আমার শিশু সন্তানের দুর্ভোগ সৃষ্টিসহ স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। উক্ত বিষয়ে আমি আইনের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করি।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিশু মোঃ জীবন এর বাবা মোঃ বাবুল বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত