নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে জানান, রাতের বেলায় এখনও ধীরগতিতে চিংড়ি ঘের তৈরির কাজ চলছে। তাদের শঙ্কা, এভাবে কাজ চলতে থাকলে চক্রটি ১০০ হেক্টর বন ভূমি দখল করে অবৈধভাবে চিংড়ি ঘের করে ফেলবে। প্রথম দফায় হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ ওয়াহিদ শামীমের নেতৃত্ব প্যারাবন কেটে উজাড় করা হলেও, দ্বিতীয় দফায় হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী নেতৃত্ব যুবনেতা আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ সিকদার, আবদুস ছালাম, সোমলত মাহমুদ কলি, মোহাম্মদ আমিন, শাহাদত কবির শাহাদাত, নাজেম উদ্দীন নাজু, ছদর আমিন, ইসহাক, পেঠন আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবদুল করিম, আমির হোসেন, আকতার হামিদ, মারুফুল হক, সাইফুল ইসলাম, মকসুদ, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আলম, তারেকুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ, মোহাম্মদ বেলাল, খুলু মিয়া, আনছার উল্লাহ,জসিম উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, ইমরুল কায়েস মানিক, মনু মিয়া, মুজিবুল হক, জিয়াবুল হক, এরশাদ, তৌহিদুল ইসলাম, রুহুল কাদের বাদশা, শহিদুল ইসলাম সোহেল, এমদাদুল ইসলাম রাসেল, রুবেল, মোস্তাক আহমদ, রফিক উদ্দিন, শাহ নেওয়াজ রুবেল, আতাহার উদ্দিন, মোস্তফা কালাম বকুল, রমিজ উদ্দিন বাদশা, ওবাইদুল হোসেন, হাজী আব্দুস শুক্কুর, রহমত আলী'সহ প্রভাবশালী ভূমিদস্যুর ছত্রছায়ায় রয়েছে আরো অনেকে, গত ঈদের আগেই দ্বিতীয় দফায় ধীরগতিতে চিংড়ি ঘের তৈরির কাজ চালিয়ে বন ভূমি দখল করে অবৈধভাবে চিংড়ি ঘের নির্মানের দায়ে আরো একটি মামলা রেকর্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ৩টি মামলার বিষয়ে ফিরোজ ওয়াহিদ শামীম, শাহাবুদ্দীন ও এরশাদুল ইসলাম লোক মুখে বলে বেড়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করছে বনবিভাগ, এই বিচার মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামের কাছে দিয়েছি আমার কিছুই করার নেই।
এই বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রতিনিধি'কে জানান, নতুন ভাবে প্যারাবন কাটার কোন সংবাদ পাইনি, খোঁজ নিচ্ছি, জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মহেশখালী প্যরাবন রেঞ্জ এর কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান,ভূমিদস্যু গংদের বিরুদ্ধে পরপর ৩টি মামলা রজু হয়েছে। অভিযানের পরিবর্তী পুনরায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।